তারের যুগ শেষ হল?




মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম কি এবার ব্যবহার করতে পারা যাবে না?

সম্প্রতি এমনই আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন একাধিক সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। তাঁদের দাবি, টেলিগ্রামের শেষ হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। কেন এই দাবি তাঁরা করছেন, তা জানাচ্ছে রিপোর্ট।

অতীতে কী কী হয়েছিল?

  • টেলিগ্রামকে নিয়ে সমালোচনা কোনও নতুন বিষয় নয়। বিশেষত, ২০২১ সালে সংস্থাটি নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে।
  • এই প্রাইভেসি পলিসির আওতায়, টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের কিছু ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে শেয়ার করার কথা। এতে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছিল ব্যাপক ক্ষোভ।
  • এর ফলে বিশ্বব্যাপী অনেক দেশেই টেলিগ্রামের ব্যবহার কমতে শুরু করে। ভারতও তার অন্যতম।
  • কিন্তু এসব বিতর্ক সত্ত্বেও টেলিগ্রামের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়তে থাকে। কারণ, সংস্থাটি নিজেদের সিকিউরিটির উপর বেশ জোর দিয়েছে।

কিন্তু এবার কী হল?

  • সম্প্রতি কয়েকটি সাইবার নিরাপত্তা ফার্ম এমন কিছু দাবি করেছে, যা এই মেসেজিং অ্যাপের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
  • তাদের দাবি অনুযায়ী, টেলিগ্রামের সিকিউরিটি ব্যবস্থা আর আগের মতো নির্ভরযোগ্য নেই।
  • এমনকী, হ্যাকাররা চাইলে টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যও খুব সহজেই অ্যাক্সেস করতে পারে বলেও দাবি করেছেন ওই বিশেষজ্ঞরা।

টেলিগ্রামের প্রতিক্রিয়া কী?

টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ এখনও এই দাবির উপর কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে সংস্থাটি আশ্বস্ত করেছে যে, তাদের সিকিউরিটি ব্যবস্থা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।

কী হতে চলেছে?

টেলিগ্রাম নিয়ে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের এই দাবির পর, মেসেজিং অ্যাপটির ভবিষ্যত নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ এমনকী এই দাবিও করছেন যে, টেলিগ্রামের "শেষ হওয়ার সময় এসে গিয়েছে।"

যদিও টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ এখনও এই দাবির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি, তবুও এটি স্পষ্ট যে সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাগুলির দাবির ফলে টেলিগ্রামের জনপ্রিয়তায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

আপনি কী করতে পারেন?

টেলিগ্রাম ব্যবহারকারী হিসাবে আপনি এখন কী করতে পারেন? সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিচ্ছেন, টেলিগ্রামে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অতি সাবধানে শেয়ার করতে।

এছাড়াও, আপনি অন্য মেসেজিং অ্যাপ যেমন সিগন্যাল বা হোয়াটসঅ্যাপে স্যুইচ করতেও চিন্তা করতে পারেন। এগুলিও নিরাপদ মেসেজিং অ্যাপ হিসাবে খ্যাত।