তুরস্ক




তুরস্ক, আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্ক প্রজাতন্ত্র, পূর্ব প্রান্তে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া (বা পশ্চিম এশিয়া) বিস্তৃত একটি ট্রান্সকন্টিনেন্টাল দেশ। এটি বসফরাস, মারমারা সাগর এবং ডার্ডানেলস দ্বারা বделя করা বাল্কান উপদ্বীপের অংশ (বিশেষত পূর্ব থ্রেস) এবং এনাতোলিয়ান উপদ্বীপ নিয়ে গঠিত। তুরস্কের সীমান্ত রয়েছে উত্তর-পশ্চিমে বুলগেরিয়া এবং গ্রিসের সাথে; পূর্বে জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান এবং ইরানের সাথে; দক্ষিণ-পূর্বে ইরাক এবং সিরিয়ার সাথে; এবং পশ্চিমে আজারবাইজান স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র (ন্যাচিভান) দ্বারা আলাদা করা আজারবাইজানের সাথে। সাইপ্রাস তুরস্কের দক্ষিণে একটি দ্বীপ দেশ।

সমগ্র ইতিহাস জুড়ে, অঞ্চলটি বিভিন্ন সাম্রাজ্য এবং সভ্যতার আবাসস্থল হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হিটিট, গ্রিক, ফার্সি, রোমান, বাইজেন্টাইন, সেলজুক এবং অটোমান সাম্রাজ্য। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা; বৃহত্তম শহর ইস্তানবুল, যা বসফরাস প্রণালীর উপর অবস্থিত এবং ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যে সেতু হিসাবে কাজ করে।

ইতিহাস

তুরস্কের ইতিহাস হাজার হাজার বছর পুরানো। ষষ্ঠ সহস্রাব্দে মধ্য প্রাচ্যের প্রাথমিক সভ্যতার অন্যতম, কাতালহুيوক, বর্তমান তুরস্কের আঙ্কারার কাছে অবস্থিত। ব্রোঞ্জ যুগে, এনাতোলিয়া হিটিট সাম্রাজ্যের আবাসস্থল হয়ে ওঠে। সাত শতকে খ্রিস্টপূর্বাব্দে, গ্রীক উপনিবেশবাদীরা এনাতোলিয়ার উপকূল বরাবর শহর প্রতিষ্ঠা করে।

পারস্যরা ষষ্ঠ শতাব্দীতে খ্রিস্টপূর্বাব্দে এনাতোলিয়া জয় করে, এবং এটি পারস্য সাম্রাজ্যের একটি অংশ হয়ে ওঠে। ম্যাসেডোনিয়ার আলেকজান্ডার দি গ্রেট 334 খ্রিস্টপূর্বাব্দে এনাতোলিয়াকে জয় করে, এবং এটি হেলেনিস্টিক সভ্যতার অংশ হয়ে ওঠে। প্রথম শতাব্দী খ্রিস্টপূর্বাব্দে, রোমানরা এনাতোলিয়া জয় করে, এবং এটি রোমান সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ হয়ে ওঠে।

মধ্যযুগে, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য এনাতোলিয়ার বেশিরভাগ অংশে শাসন করে। এগারো শতকে, তুর্কিরা এনাতোলিয়ায় আক্রমণ শুরু করে, এবং তারা ১৪ শতকে অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। অটোমানরা 16 শতকে তাদের সাম্রাজ্যের শীর্ষে পৌঁছে।

ভূগোল

তুরস্ক একটি ভৌগলিকভাবে বৈচিত্র্যময় দেশ। দেশটির বেশিরভাগই পর্বতশ্রেণী, মালভূমি এবং উপকূল দ্বারা আচ্ছাদিত। তুরস্কের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট আরাট, যা 5,137 মিটার (16,854 ফুট) উঁচু। তুরস্কের বৃহত্তম হ্রদ ভ্যান হ্রদ, যা পূর্ব তুরস্কে অবস্থিত।

তুরস্কের জলবায়ু বিভিন্ন। দেশের পশ্চিম অংশ একটি মধ্য-প্রশান্ত জলবায়ু উপভোগ করে, যখন পূর্ব অংশ একটি মহাদেশীয় জলবায়ু উপভোগ করে। తుర్కి యొక్క తీరప్రాంతాలు సమశీతోష్ణ శీతాకాలాలు మరియు వేసవిలో వేడిగా ఉంటాయి.

অর্থনীতি

তুরস্কের একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতি রয়েছে। দেশের প্রধান শিল্পগুলি কৃষি, খনন, বস্ত্র এবং পর্যটন। তুরস্ক একটি প্রধান কৃষি উৎপাদনকারী, এবং এটি বিশ্বের বৃহত্তম চা এবং ফিগ উৎপাদনকারীদের মধ্যে একটি। তুরস্কের খনন শিল্পও উল্লেখযোগ্য, এবং দেশটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রোমাইট উৎপাদনকারীদের মধ্যে একটি।

তুরস্কের পর্যটন শিল্প দ্রুত বর্ধমান। দেশটির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। তুরস্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলি হল ইস্তানবুল, কাপাডোসিয়া এবং এফেসাস।

সংস্কৃতি

তুরস্কের একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি রয়েছে। দেশটি বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর আবাসস্থল, এবং প্রতিটি গোষ্ঠীর নিজস্ব অনন্য সংস্কৃতি রয়েছে। তুর্কি সংস্কৃতি ইসলাম, খ্রিস্টান ধর্ম এবং পূর্বের বিভিন্ন ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।

তুরস্কের কিছু সবচেয়ে বিখ্যাত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলি হল তাদের স্নান, তাদের সংগীত এবং তাদের খাবার। তুর্কি স্নান তাদের বিশ্রামদায়ক এবং মনোরম অভিজ্ঞতার জন্য পরিচিত। তুর্কি সংগীত বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন এবং প্রভাবশালী সঙ্গীত রীতিগুলির মধ্যে একটি। তুর্কি খাবার সুস্বাদু এবং বৈচিত্রপূর্ণ, এবং এটি বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার।

বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক

তুরস্ক এবং বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশ ১৯৭১ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। তুরস্ক বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে সমর্থন করেছিল, এবং ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ