তের বছরের রহস্য
একদিন, আমার বয়স যখন তের বছর, আমার জন্মদিনের দিনে, আমি একটি অদ্ভুত ব্যাপার ঘটতে দেখলাম। আমার বন্ধুদের অত্যাচার ... আমার মা-বাবার অস্পষ্ট বিবাদ ... আমার নিজের অদ্ভুত স্বপ্ন ... সবকিছু যেন একসঙ্গে জড়িয়ে গেছে, আর আমার জীবনটাই যেন উল্টে গেলো।
ব্যাপারটা শুরু হয় সকালে, যখন আমার বন্ধুরা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দেওয়ার জন্য আমার ঘরে এলো। কিন্তু তারা যা বললো, তা আমাকে চমকে দিলো। "তুমি কি জানো তুমি আসলে কে?" তারা জিজ্ঞাসা করল।
"আমি? আমি আমি," আমি বিভ্রান্তভাবে বললাম।
"না," তারা মাথা নাড়লো। "তুমি নও। তুমি একজন নির্বাচিত। একটি মহান ভবিষ্যত তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।"
আমি তাদের কথা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমার জন্য কোন মহান ভবিষ্যত কি? আমি তো একটি সাধারণ তের বছরের ছেলে। কিন্তু তারা আমাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করলো। তারা আমাকে কিছু অদ্ভুত চিহ্ন দেখালো, কিছু গল্প বললো, আর আমাকে এটা বিশ্বাস করতে হলো যে আমি আসলে কে।
তারপর থেকে আমার জীবন পরিবর্তন হয়ে গেলো। আমার বন্ধুরা আমাকে ছেড়ে চলে গেলো। আমার মা-বাবা আমার সাথে অন্যরকম আচরণ করতে লাগলো। আর আমি নিজেও বিভিন্ন রকম অদ্ভুত স্বপ্ন দেখতে লাগলাম।
একদিন রাতে, আমার স্বপ্নে আমি একটি বড় ঘরে দেখলাম। ঘরটি অন্ধকারে ডুবে আছে, শুধুমাত্র একটি প্রদীপ জ্বলছে। প্রদীপটির পাশে একটি বৃদ্ধ বসে আছে, আর তার হাতে একটি কালো বই।
"তুমি এসেছ," বৃদ্ধটি বললো। "আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।"
"আপনি কে?" আমি জিজ্ঞাসা করলাম।
"আমি তোমার রক্ষক," সে বললো। "আমি তোমাকে তোমার ভাগ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবো।"
আমি বৃদ্ধটির দিকে এগিয়ে গেলাম, আর সে আমার হাতে কালো বইটি দিলো। "এই বইতে তোমার ভবিষ্যত লেখা আছে," সে বললো। "এটি তোমাকে দেখাবে তুমি কে, আর তোমার কী করতে হবে।"
আমি বইটি খুললাম, আর আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। বইটিতে অদ্ভুত অক্ষরে কিছু লেখা ছিল। কিন্তু আমি তা পড়তে পারছিলাম না।
"আমি এগুলো পড়তে পারছি না," আমি বললাম।
"তুমি শিখবে," বৃদ্ধটি বললো। "এখন যাও। তোমার ভাগ্য তোমার অপেক্ষায় আছে।"
আমি বইটি নিয়ে রাতের অন্ধকারে হারিয়ে গেলাম। আমি জানি না আমি কোথায় যাচ্ছি, বা আমি কী করবো। কিন্তু আমি জানি আমার ভাগ্য আমার অপেক্ষায় আছে। আর আমি এটি খুঁজে পাবো।