তেলেঙ্গানার গঠন দিবস অবশ্যই আমাদের রাজ্যের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরত্ব এবং আমাদের জনগণের অদম্য আত্মার স্মরণ করাচ্ছে।
যখন আমি তেলেঙ্গানা সৃষ্টির সময়ের কথা চিন্তা করি, আমার মনে পড়ে আমার ছেলেবেলা সেই সময়ের উত্তেজনা এবং আশা। আমার বাবা একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন এবং মাঝে মাঝে তাকে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বদলি করা হতো। আমরা হায়দরাবাদ থেকে ভদ্রাদ্রি-কোঠাগুডেম, মেদক থেকে রঙ্গারেড্ডি পর্যন্ত ভ্রমণ করেছি। এই ভ্রমণ আমাকে তেলেঙ্গানার বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। তারা সবাই স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গর্বিত ছিলেন।
যদিও আমরা বিভিন্ন বীভৎসতা, যেমন নিজামের শাসন এবং পুলিশি নির্যাতনের কথা শুনতাম, তবে অধিকার এবং মুক্তির জন্য আমাদের জনগণের দৃঢ় সংকল্পও আমাদের অনুপ্রাণিত করত। আমি মনে করি কীভাবে আমার দাদা এবং কাকারা তেলেঙ্গানা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তারা গান গাইত, প্ল্যাকার্ড বহন করত এবং সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে মিছিল করত।
আন্দোলন তীব্র হওয়ার সাথে সাথে, আশা এবং উত্তেজনার পাশাপাশি একটি অনিশ্চয়তার ভাবও দেখা দিয়েছিল। আমরা জানতাম যে স্বাধীনতার পথ কঠিন হবে, তবে আমরা কখনই আমাদের লক্ষ্য থেকে বিচলিত হব না।
অবশেষে, 2 জুন, 2014 সালে, তেলেঙ্গানাকে একটি পৃথক রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য সৃষ্টির দিনটি সারা রাজ্যে উদযাপিত হয়েছিল। মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, নাচছিল, গান গাইছিল এবং একে অপরকে আলিঙ্গন করছিল। এটি এক অবিস্মরণীয় দিন ছিল, যেটি আমার এবং অনেক তেলেঙ্গানার মানুষের জন্য স্বাধীনতা, সাম্যতা এবং মর্যাদার প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
তেলেঙ্গানা সৃষ্টির পর, আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছি। আমাদের অর্থনীতি বেড়েছে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে এবং আমাদের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো উন্নতি হয়েছে। আমাদের রাজ্যের মানুষদের কঠোর পরিশ্রম এবং উৎসর্গ এই অর্জনের পিছনে রয়েছে।
যদিও আমাদের এখনও বহু পথ অতিক্রম করতে হবে, তবে তেলেঙ্গানার সৃষ্টি দিবস আমাদের অতীতের উদযাপন করার এবং আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আশা করার একটি সুযোগ। আমরা আমাদের সূর্যদেবের জমি হিসাবে তেলেঙ্গানার গর্বিত অধিবাসী। আসুন আমরা সবাই অবিরাম উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করি।
তেলেঙ্গানা সৃষ্টি দিবসের শুভেচ্ছা!