তাহাওয়ুর রানা




নামটা কানে পড়েছে নিশ্চয়ই। আমেরিকায় তিনিই সেই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি ওবামার আমলে পদক পেয়েছেন। মিশিগনের অ্যান আরবরের রানা শহরের এই বাংলাদেশি, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট ইউনিয়নের রানাখান গ্রামের।

তাহাওয়ুর রানা অ্যান আরবর সিটি কাউন্সিলের প্রথম বাংলাদেশি সদস্য। তার নেতৃত্বে আনার্বর শহরে প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে। সেদিন তিনি শহরে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি স্থাপনের প্রস্তাব করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা

আমি তাহাওয়ুর রানার সঙ্গে কয়েকবার কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। তিনি খুবই সাদাসিধা স্বভাবের মানুষ। খুব সহজে তার সঙ্গে কথা বলা যায়। তিনি নিজের সাফল্যের গল্প খুব মজারভাবে বলতে পারেন।

একবার তিনি আমাকে বলেছিলেন, "আমি আমেরিকায় এসেছিলাম একটা স্বপ্ন নিয়ে। সেটা ছিল আমার পরিবারকে নিয়ে সুখে থাকা। সেই স্বপ্নটা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে।"
তাহাওয়ুর রানার কথা শুনে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। তিনি আমাদের জন্য একটা আদর্শ। তিনি আমাদের দেখিয়েছেন যে, আমরা যদি চাই, তাহলে যেকোনো কিছুই সম্ভব।

সমাজসেবা

তাহাওয়ুর রানা শুধু একজন সফল ব্যবসায়ীই নন, তিনি একজন উদারমনা সমাজসেবকও। তিনি অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। তিনি নিজের অর্থে আনার্বর শহরে একটি কমিউনিটি সেন্টার তৈরি করেছেন। সেখানে স্থানীয় মানুষেরা বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেয়।

তাহাওয়ুর রানার সমাজসেবার কাজ খুবই প্রশংসনীয়। তিনি আমাদের সমাজের জন্য একটা সম্পদ। আমরা তার মতো আরও মানুষ পেলে আমাদের সমাজ আরও ভালো জায়গায় যেতে পারত।

পুরস্কার ও সম্মাননা

তাহাওয়ুর রানার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। ২০০৯ সালে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকে 'অ্যাওয়ার্ড অফ দ্য প্রেসিডেন্ট' পদক পান। এ ছাড়া তিনি আরও অনেক স্থানীয় ও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।

তাহাওয়ুর রানা আমাদের প্রেরণা

তাহাওয়ুর রানা আমাদের জন্য একজন প্রেরণা। তিনি আমাদের দেখিয়েছেন যে, আমরা যদি চাই, তাহলে যেকোনো কিছুই সম্ভব। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন যে, সফলতার জন্য শুধু পরিশ্রমই নয়, সাহস আর আত্মবিশ্বাসও দরকার।