সাধারণ মানুষের জন্য তোলা হাত, দুঃস্থদের পাশে এগিয়ে আসা, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া - এমন মানুষের সংখ্যা এখন আর খুব বেশি নেই। সুদূর গ্রামের ছেলে, যিনি কখনও ভাবেননি যে তিনি এতখানি অর্জন করতে পারবেন। অধ্যবসায়ের চেয়ে জীবনে কিছুই বড় নয়, এটি প্রমাণ করেছেন দিনেশ Pratap সিং।
একটি সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্ম, দিনেশ প্রতাপ সিংহের শৈশব অভাব ও দুর্দশায় কেটেছে। কিন্তু তিনি কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করতেন এবং তিনি কখনও হাল ছাড়েননি। তিনি দিনরাত পড়াশোনা করতেন, যেকোনও কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকতেন। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে, তিনি তার ছোট্ট গ্রাম থেকে বেরিয়ে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।
জীবনে তিনি যে সাফল্য পেয়েছিলেন তার কথা দিনেশ প্রতাপ সিং কখনও ভোলেননি। তাঁর লক্ষ্য, ধনী হওয়া নয়, সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজ করা। তিনি এনজিও এবং অলাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে দুঃস্থদের সহায়তা করতে শুরু করেন। তিনি হাসপাতাল, স্কুল এবং অনাথ আশ্রম তৈরি করেছেন, যা হাজার হাজার মানুষের জীবনকে স্পর্শ করেছে।
দিনেশ প্রতাপ সিংয়ের মতে, আর্থিক উন্নতির মাপকাঠি শুধুমাত্র অর্থ নয়, বরং অন্যদের সাহায্য করার ক্ষমতাও। তিনি তার সম্পদের একটি বড় অংশ দান করেছেন এবং গরিব ও অসহায়দের সহায়তা করার জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করেছেন। তিনি মনে করেন, সবাইকেই সমাজে তাদের দায়িত্ব পালন করা উচিত, এবং এটি করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল তাদের সাহায্য করা যারা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
দিনেশ প্রতাপ সিং আজকের ব্যবসায়িক জগতের একটি বিরল নিদর্শন। তিনি যে সবকিছু অর্জন করেছেন তার জন্য তাকে কেউ কখনও তার জুতোর ফিতেও বাঁধতে দেখেনি। তিনি সবসময় অহংকারী এবং অহংকারীদের মধ্যে বিনীত একজন ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত। তিনি অন্যদের অগ্রগতি দেখতে পছন্দ করেন এবং কখনই কাউকে হতাশ করেন না।
দিনেশ প্রতাপ সিং সকলের জন্য অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন যে সাধারণ শুরু থেকেও কেউ অনেক কিছু অর্জন করতে পারে। তিনি সমাজে পরিবর্তন আনতে এবং অসহায়দের সাহায্য করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
নিঃসন্দেহে, দিনেশ প্রতাপ সিং একটি অসাধারণ ব্যক্তি যিনি অনেক জীবনকে স্পর্শ করেছেন। তিনি একটি অনুপ্রেরণা এবং একটি দৃষ্টান্ত, যা আমাদের সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, যদি আমরা আমাদের হৃদয় এবং মন দিয়ে কাজ করি, তাহলে আমরা সবাই পরিবর্তন আনতে পারি।