দীপাবলিতে রঙ্গোলি ডিজাইন
আল্পনা, রঙ্গোলি, চুক্কি, মুগ্গু, কোলম- এই নানা নামেই দেশের নানা প্রান্তে পরিচিত এই প্রথাটি। শুধু ঘর সাজানোই নয়, গৃহলক্ষ্মীর অভ্যর্থনাও রঙ্গোলির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে। দীপাবলিতে রঙ্গোলি শুধু ঘরকেই সাজায় না, আনে সুখ-সমৃদ্ধি।
- ঘরের প্রবেশদ্বারে স্বস্তিকের চিহ্ন সহ একটি ময়ূরের রঙ্গোলি দীপাবলি উৎসবের শুভতাকে তুলে ধরবে সুন্দরভাবে।
- সাদা ও নীল রঙ্গের আল্পনা ফুল দিয়ে ঘর সাজালে চোখ জুড়িয়ে যায়।
- নানা রকম ফুল ও পাপড়ির সঙ্গে রঙ্গিন আলতা দিয়ে করা রঙ্গোলি দীপাবলির আমেজকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
- নবদ্বীপে প্রচলিত `আলপনা`য় হিন্দু কিংবদন্তি, ধর্মীয় দৃশ্য ও বিভিন্ন প্রকৃতি দৃশ্যকে রঙ্গিন রেখার সাহায্য নিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়।
- শুধু প্রবেশদ্বারেই নয়, ঘরের ভেতরেও রঙ্গোলিতে সাজিয়ে তোলা যেতে পারে। রঙিন গুঁড়ো ব্যবহার করে একটি মন্দির বা একটি ময়ূরের রঙ্গোলিতে সাজিয়ে তোলা যেতে পারে ঘরকে।
- তবে রঙ্গোলির জন্য শুকনো সাদা পাউডার, রঙিন পাউডার, চালের গুঁড়ো, ফুল, পাপড়ি, কাঁচের পুঁটি, মুক্তো ইত্যাদি জিনিসের প্রয়োজন হয়।
রঙ্গোলির নিয়ম জটিল নয়। শুধু সরল রেখা, বিন্দু ও বৃত্ত টানা দরকার। অল্প কিছু অনুশীলন করলেই বানানো যায় সুন্দর সুন্দর রঙ্গোলি। পারিবারিক মেলামেশার পাশাপাশি শিল্পকলার প্রতি আগ্রহও বাড়ে এই রঙ্গোলি আঁকার মাধ্যমে।
শুধু ঘরবাড়িই নয়, দোকান, অফিস, মন্দির, রাস্তাঘাট — সর্বত্রই রঙ্গোলিতে সাজানো হয় দীপাবলির সন্ধ্যায়। এই রঙ্গোলি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় নানা রঙিন পাউডার ও আলতা। রঙ্গোলি শুধু ঘর সাজায় না, উৎসবের আনন্দকেও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।