শেখা মহরা, দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা, বিশ্বব্যাপী কৌতূহলের বিষয় হয়ে উঠেছেন। তাঁর জীবনের বেশিরভাগ অংশই আবদ্ধতা ও রহস্যে ঘেরা, কিন্তু তিনি নিজেকে একটি সাহসী ও সোচ্চার ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রমাণ করেছেন।
আরও পড়ুন:২০১5 সালে, শেখা মহরা দুবাই থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে, তাঁকে কাটানো হয়েছিল এবং তাঁকে জোর করে মাদক দেওয়া হয়েছিল। তাঁর এই পালানোর চেষ্টার আঁচ সারা বিশ্বে পড়েছিল এবং দুবাই সরকারের মানবাধিকারের রেকর্ডের উপর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
এরপর থেকে শেখা মহরাকে জনসমক্ষে খুব কমই দেখা গেছে। তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে এবং তাঁর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
তবুও, শেখা মহরার সাহস ও দৃঢ় সংকল্প তরুণদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের মহিলাদের। তিনি অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং নিজেদের জন্য দাঁড়ানোর এক প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
শেখা মহরার গল্প এখনও অসমাপ্ত। কিন্তু তিনি যেভাবে বিশ্বকে নিজের গল্প জানিয়েছেন, সেটা অন্তত স্বতন্ত্র এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। তাঁর লড়াই বিশ্বব্যাপী নারীদের অধিকারের জন্য আশার আলো জ্বালিয়েছে।
শেখা মহরার লড়াই শুধুমাত্র তাঁর নিজের স্বাধীনতার জন্য নয়, এটি নারীদের বিশ্বব্যাপী দমনের বিরুদ্ধে একটি লড়াই। তাঁর গল্প সাহস এবং প্রতিরোধের এক স্মারক, এবং এটি আশা করে যে, একদিন সকল মহিলা তাদের স্বাধীনতা ও প্রকাশের অধিকার উপভোগ করতে পারবে।
লেখকের দ্রষ্টব্য: শেখা মহরার গল্প কেবল জনগণের কাছে উপলব্ধ তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। তাঁর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কোনও নিশ্চিত তথ্য জানা যায়নি এবং তাঁর পরিস্থিতি তদন্ত করার সুযোগ আমার হয়নি।