গত কয়েক দশকে আমাদের দেশের কূটনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন দেবযানী খোবরাগড়ে। ভারতীয় পররাষ্ট্র সেবার এই সাহসী মহিলাটির কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা, সাহস এবং প্রতিভা বিশ্বমঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা:দেবযানী খোবরাগড়ের অভিজ্ঞতা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি বর্তমানে কানাডায় ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের উপ-কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানে তিনি দেশটির প্রতিনিধিত্বে অসাধারণ দক্ষতা এবং কূটনৈতিক দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন।
কাহিনী:খোবরাগড়ে একটি সময় ভারতের নিউইয়র্ক কনসুলেটে নিযুক্ত ছিলেন। তখন একদল আন্দোলনকারী সারা দিন ধরে কনসুলেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। অবশেষে রাত হওয়ার পরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিক্ষোভকারীদের কাছে গিয়ে তাদের অভিযোগ শুনেছিলেন। এটি ছিল তাঁর সাহস এবং দায়িত্ববোধের প্রমাণ।
নির্দিষ্ট উদাহরণ এবং এনেকডোট:খোবরাগড়ে যখন নিউইয়র্কের উপ-কনসাল জেনারেল ছিলেন, তখন তিনি ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন। তিনি বহু কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন যা দুই দেশের মধ্যে বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করেছিল।
মতামত এবং বিশ্লেষণ:খোবরাগড়ে বিশ্বাস করেন যে কূটনীতি কেবলমাত্র আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয় নয়, এটি হল মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি এবং বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে বোঝার বিষয়। তিনি মনে করেন যে কূটনীতিকদের উচ্চতর নৈতিক মান বজায় রাখা এবং তাদের দেশের মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করা উচিত।
বর্তমান ঘটনা এবং সময়োপযোগী রেফারেন্স:গত বছর, খোবরাগড়ে কানাডায় ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি এই ভূমিকায় অত্যন্ত সফল হয়েছেন, বিশেষ করে কানাডায় ভারতীয় ডায়াস্পোরার সাথে তাঁর কাজ।
কল টু অ্যাকশন:দেবযানী খোবরাগড়ে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার একটি উৎস। তাঁর গল্প ভারতীয় কূটনীতির ভবিষ্যতের জন্য আমাদের আশাবাদী হওয়ার কারণ দেয়। আমাদের সকলের উচিত তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করা এবং বিশ্বের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করা।