দেবশয়নী একাদশী ২০২৪




দেবশয়নী একাদশী হল হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা ভগবান বিষ্ণুর চার মাসের ঘুমের সূচনা করে। এই বছর, 2024 সালে, দেবশয়নী একাদশী পালিত হবে 19 জুলাই।

এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে ভগবান বিষ্ণু গারুড়ের সঙ্গে ক্ষীর সাগরে তাঁর বাসস্থানে প্রস্থান করেন এবং চার মাসের জন্য ঘুমিয়ে পড়েন। এই সময়কে "চতুরমাস" বলা হয়।

দেবশয়নী একাদশীর তাৎপর্য

দেবশয়নী একাদশী অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ:

  • এটি ভগবান বিষ্ণুর চার মাসের ঘুমের সূচনা করে, যার ফলে পৃথিবীতে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়।
  • এই দিনটি আধ্যাত্মিক সাধনা এবং আত্মনিবেদনের জন্য আদর্শ বলে মনে করা হয়।
  • জ্যোতিষশাস্ত্রে, এই দিনটি রবি মকর রাশিতে স্থানান্তরিত হওয়ার চিহ্ন দেয়, যা নতুন শুরু এবং পরিবর্তনের সময়কে নির্দেশ করে।
দেবশয়নী একাদশী অনুষ্ঠান

দেবশয়নী একাদশী সাধারণত নিম্নলিখিত অনুষ্ঠানগুলির সঙ্গে পালিত হয়:

  • উপবাস: অনুগামীরা দিনটি উপবাস রেখে, শুধুমাত্র ফল এবং সবজি গ্রহণ করে।
  • বিষ্ণু পূজা: भक्तগণ ভগবান বিষ্ণুর পূজা করেন এবং তাঁর নাম জপ করেন।
  • পূজা যজ্ঞ: কিছু মন্দিরে দেবশয়নী একাদশীর দিনে বিশেষ পূজা-যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়।
দেবশয়নী একাদশীর গল্প

দেবশয়নী একাদশীর পিছনে একটি আকর্ষণীয় পুরাণ রয়েছে। কাহিনী অনুসারে, একবার অসুর রাজ বলি ভগবান বিষ্ণু কর্তৃক তিন পদ ভূমির সঙ্গে বঞ্চিত হয়েছিল। বলির প্রতি সহানুভূতি থেকে, ভগবান বিষ্ণু তার কাছে রক্ষা দান করেন এবং বলেন যে তিনি চার মাসের জন্য বলির প্রাসাদে থাকবেন।

যাতে ভগবান বিষ্ণু শান্তিতে ঘুমাতে পারেন, তাই দেবতা এবং ঋষিরা এই দিনটি দেবশয়নী একাদশী হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

আরও গল্প অনুসারে, এই দিনটিতে ভগবান বিষ্ণুর শঙ্খ এবং চক্রের পূজা করা হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে শঙ্খের শব্দ এবং চক্রের শক্তি নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং ইতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করে।

দেবশয়নী একাদশীর উপসংহার

দেবশয়নী একাদশী হল হিন্দুদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তিথি, যা ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ কৃপা বয়ে আনে। এই দিনটি অধ্যাত্মিক সাধনা, আত্মনিবেদন এবং নতুন শুরুর জন্য আদর্শ। দেবশয়নী একাদশী পালন করে, আমরা ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ এবং রক্ষা লাভ করতে পারি।