দ্য ইউনিয়ন




কেবল কয়েকজনের পকেট ভারী করার জন্যই পুরো সমাজকে গর্তের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দেশ ক্রমশঃই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। হাতে সময় খুব কম। এই মুহূর্তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে আর একবার দুঃসময়ের মুখোমুখি হতে হবে আমাদেরও। দেশের এই দুরবস্থাকে কেবলমাত্র আমরাই ঠেকাতে পারি। বাকিদের তেমন কোনও চেষ্টা করার প্রয়োজন নেই। আমাদের নিজেদেরই এই অবস্থাকে সামলানো উচিত।

তবে শুধুমাত্র ধনীরা রাজত্ব করছেন কেন?


বাংলাদেশের অর্থনীতি হাতে গোনা কিছু ধনী ব্যক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই ব্যক্তিরা দেশের প্রায় সমস্ত সম্পদ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন। বাকি জনগণের অবস্থা খুবই শোচনীয়। তাদের মাত্র দুবেলা খাবার জোগানোই দায়। এই ধনী ব্যক্তিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশের সমস্ত আইন কানুনকে নিজেদের পক্ষে বানিয়ে নিয়েছে। কারণ তারা জানে যে দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো অর্থ। অর্থ থাকলে কেউ কিছু করতে পারে না। সব কিছুই তাদের হাতের মুঠোর মধ্যে।

মধ্যবিত্ত শ্রেণির হাহাকার


বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি দিন দিন নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। একদিকে ধনীদের অত্যাচার তো আছেই। অন্যদিকে সরকারের অদূরদর্শী নীতির কারণেও মধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থা খুবই খারাপ। দিন দিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আয় বাড়ছে না। ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে আজ ভাত খাওয়াই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অনেকে আবার দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

গরিবরা ভুখে মরছে


बाংলাদেশের গরিবদের অবস্থা তো খুবই খারাপ। তারা দুবেলা খাবারও ঠিকমতো খেতে পায় না। তাদের থাকার ঘরও নেই। রাস্তায় ঘুমিয়ে জীবন কাটাচ্ছে। ঈশ্বরই জানেন তাদের পরিস্থিতি কতটা খারাপ।

আমাদের করণীয়


এই অবস্থাকে সামাল দিতে আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে আসতে হবে। ধনীদের অত্যাচারের শিকার হওয়া বন্ধ করতে হবে। মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে রক্ষা করতে হবে। গরিবদের খাবার জোগান দিতে হবে। এ ছাড়া সরকারকেও দেশের অর্থনীতিকে সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করতে হবে।

আসুন, আমরা সবাই মিলে এই অবস্থার পরিবর্তন করি।