দুর্গাপূজা




আসছে প্রতিমা বিসর্জনের দিন। ফুটফুট করে আনন্দের দীপ জ্বলে উঠল মনে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা লাফালাফি করে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছে। কি আনন্দই না তাদের! কেউ নিজেদের পুতুলের পাশেই থাকে, কেউ চেষ্টা করে অন্যের পুতুলটিকে ছুঁয়ে ফেলতে। কারণ বিসর্জন দেওয়ার আগে অপরের পুতুল ছুঁলেই বিশেষ সুযোগ পাওয়া যায়।

বিকেলবেলায় প্রতিমা বিসর্জন শোভাযাত্রা বের হয়, বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে। হরেক রকম পূজার সাজে সাজানো প্রতিমাগুলোকে হাঁটায় হাঁটায় নিয়ে আসা হয় বিরাজ নদীর ঘাটে। পথের দু’পাশে দাঁড়ানো ভক্তরা নদীর জলে ভেসে যাওয়া দেবী দুর্গার মূর্তিকে শেষ কিছুক্ষণ দেখার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।

মা দুর্গা নদীর জলে ভেসে যাওয়ার মূহুর্তে উপস্থিত অসংখ্য ভক্তজনের জয় জয় ধ্বনিতে ভরে ওঠে নদীর চত্বর। নির্মল নদীর তীরে, মা গঙ্গার পাশে জয়বাণের মধ্যে মিলিয়ে যায় দেবী দুর্গার মূর্তি। সেই রাতের পর থেকে আবার গুমট ধাঁধসে রাতগুলো চলে আসে। বাতির আলোতে স্বপ্নের দেশে চলে যায় গ্রামের ছেলেমেয়েরা, বড়রা। অপেক্ষায় থাকে আবারও পরের বছর আসবে দুর্গাপূজা। আসবে মা দুর্গা, আনন্দ নিয়ে আসবে আবারও।