বর্তমান যুগে প্রযুক্তির বিস্ফোরনের কারণে আমাদের জীবনযাপন অনেকাংশে বদলে গেছে।
বিশেষ করে ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনের ব্যবহার আমাদের জীবনযাত্রার প্রায় সবকিছুই সহজ করে দিয়েছে।
যেমন- আমরা এখন ঘরে বসেই কেনাকাটা করছি, খাবার অর্ডার দিচ্ছি, দরকারি তথ্য খুঁজে নিচ্ছি এবং এমনকি ডাক্তারের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি।
তবে প্রযুক্তির এতো অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে আমাদের সামাজিক জীবনও অনেকটা বদলে গেছে।
আগে আমরা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা করতাম, কিন্তু এখন আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে চ্যাট করেই কাজ চালিয়ে নিচ্ছি।
এতে করে আমাদের সামাজিক দক্ষতা হ্রাস পাচ্ছে এবং আমরা একাকীত্বের শিকার হচ্ছি।
অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহারের আরও একটি খারাপ দিক হলো, এটি আমাদের ঘুমের সময় এবং মানকে প্রভাবিত করছে।
স্ক্রিনের আলো আমাদের স্বাভাবিক ঘুমের চক্রকে ব্যাহত করে, ফলে আমরা রাতে ভালো ঘুমাতে পারি না।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার ফলে, আমরা দিনের বেলায় ক্লান্ত এবং বিরক্ত বোধ করি।
প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলছে।
অনেক সময় আমরা সারাক্ষণ স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকি, ফলে আমাদের চোখে ব্যথা হয় এবং দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
এছাড়াও অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে আমাদের গতিশীলতাও কমে যায়।
আমরা এখন খুব কমই হাঁটা বা সাইকেল চালাই, ফলে আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে।
সুতরাং, প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলাফল গুরুতর হতে পারে।
এটি আমাদের সামাজিক জীবন, ঘুমের মান, স্বাস্থ্য এবং গতিশীলতাকে প্রভাবিত করছে।
সুতরাং, আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহারের অভ্যাসগুলিকে মূল্যায়ন করা এবং অতিরিক্ত ব্যবহার এড়ানো উচিত।
এর পরিবর্তে, আমাদের সামাজিক ক্রিয়াকলাপের জন্য সময় বের করা, পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া এবং নিয়মিত শারীরিক কসরত করা উচিত।
শুধুমাত্র এইভাবেই আমরা প্রযুক্তির সুবিধাগুলিকে উপভোগ করতে পারব এবং এর নেতিবাচক প্রভাবগুলিকে এড়াতে পারব।