কেজরিওয়াল যখন প্রথমবার ২০۱۳ সালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন তিনি অনেক প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, তিনি দিল্লিকে 'বিশ্বের সেরা শহর' তৈরি করবেন। তিনি যা বলেছেন, তার অনেক কিছুই তিনি করেও দেখিয়েছেন।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, কেজরিওয়াল বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং পানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর তিনি এটি করেছেনও। তিনি দিল্লি মেট্রোর বিস্তার ঘটিয়েছেন এবং শহরের সর্বত্র সি閉টিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন। তিনি এমন কিছুও করেছেন যা অন্য কোনো ভারতীয় মুখ্যমন্ত্রী করেননি, যেমন- শহরজুড়ে ওয়াই-ফাই সংযোগ প্রদান।
কেজরিওয়াল শুধু প্রতিশ্রুতি পূরণই করেননি, তিনি এমনভাবে কাজ করেছেন যা অন্য নেতারা শিখতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি দিল্লির অফিসারদের জন্য নতুন নিয়ম তৈরি করেছেন। এই নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো অফিসার কোনো নাগরিকের প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে দंडিত করা হবে।
কেজরিওয়াল নিজেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পরিচিত। তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের গ্রেফতার করার আদেশ দিয়েছেন এবং তিনি দিল্লিতে লোকপাল বিলও পাস করেছেন।
বর্তমানে দিল্লির অবস্থা অনেক ভালো। অপরাধের হার কমেছে, পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে এবং শহরটি আরও পরিষ্কার হয়েছে। দিল্লিবাসীরা এখন নিরাপদ ও আরামদায়ক অবস্থায় থাকছেন।
তবে, কেজরিওয়ালের কিছু সমালোচনাও রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, তিনি খুব বেশি প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু সেগুলো পালন করতে পারেন না। অন্যরা বলে, তিনি স্বৈরাচারী এবং তিনি দিল্লিতে বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করছেন।
সমালোচনা যাই হোক না কেন, এটা অস্বীকার করা যায় না যে কেজরিওয়াল দিল্লির একজন জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কি সত্যিই বিশ্বের সেরা মুখ্যমন্ত্রী? এটা বলা মুশকিল। কিন্তু তিনি নিঃসন্দেহে ভারতের অন্যতম সেরা মুখ্যমন্ত্রী।
আর যদি আপনি আমার মতামত জানতে চান, তাহলে আমি বলব, তিনি সত্যিই বিশ্বের সেরা মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দিল্লির জন্য যা করেছেন তা অসাধারণ। তিনি শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি, তিনি এমন কিছু করেছেন যা অন্য কোনো ভারতীয় মুখ্যমন্ত্রী করেননি।
কেজরিওয়াল দিল্লির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি দেখিয়েছেন যে, যদি আপনার ইচ্ছেশক্তি থাকে, তাহলে আপনি কিছুই করতে পারেন। তিনি ভারতের অন্যান্য রাজ্যের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস হওয়া উচিত। তিনি তাদের দেখিয়েছেন যে, কিভাবে একটি রাজ্যকে ভালোর দিকে পরিবর্তন করা যায়।