দিল্লি বিস্ফোরণ: শান্তি প্রতিষ্ঠায় হাত মেলাইয়ে নিরাপত্তা বাহিনী



দিল্লি বিস্ফোরণ

দিল্লি শহরে প্রশান্ত বিহারের সিআরপিএফ স্কুলের কাছে বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শুধুমাত্র স্কুলের দেওয়ালে, তবে হতাহত হয়নি কেউ। বিস্ফোরণ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ, এনআইএ এবং এনএসজি সহ বহু নিরাপত্তা সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।
এনআইএ সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে যে ক্রুড বোমা ব্যবহার করা হয়েছে, তার অনুরূপ একটি বোমা চেন্নাইয়ে কয়েকদিন আগে জব্দ করা হয়েছিল। এটাও জানা গেছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য স্কুলের বাইরেই বোমাটি রাখা হয়েছিল। সূত্র থেকে এও জানা গেছে, চেন্নাইয়ের যে বোমার সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে, সেই বোমাও একই বিদেশি সংস্থার হয়ে থাকতে পারে। বিস্ফোরণের পিছনে আন্তর্জাতিক হাত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের পিছনে কারা রয়েছে বা এর উদ্দেশ্য কী, তা জানা যায়নি।
এরই মধ্যে বিস্ফোরণ কাণ্ডে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এনআইএও। এনআইএ সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের হাইভোল্টেজ তারের ছবি ও ভিডিও আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এমনকী, বোমার সঙ্গে যে চক্রটি পাওয়া গেছে, তার ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য দিল্লির ডিএনএ ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্টের পর, বিস্ফোরণে কী গ্রেডের বোমা ব্যবহার হয়েছিল এবং কে বা কারা জড়িত, তা জানা যাবে বলে আশা করছে তদন্তকারী সংস্থা।
এই ঘটনার পর প্রশান্ত বিহারের সিআরপিএফ স্কুলের আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় পুরো দেশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটাতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী হলে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাটি জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।