আমি মনে করি না যে ক্রিকেট জানা ছাড়াও অন্য কোনও ক্রীড়া প্রেমীর জীবনে ধোনির প্রভাব পড়েনি। বিশ্বে হয়তো অনেক ক্রিকেটারই আসেন যারা খেলার উপর প্রভাব ফেলেছেন, কিন্তু ধোনি নিজেকে আলাদা করে রেখেছেন। তাঁর হেলিকপ্টার শট, তাঁর চাপ সামলানোর ক্ষমতা, তাঁর ক্যারিশমা— সবকিছুই তাঁকে অনন্য করে তুলেছে।
ধোনির জার্নি আজ থেকে শুরু হয়নি। তাঁর জীবনযাত্রা ছিল অনেক সংগ্রাম আর পরিশ্রমের। এক ছোট শহরের একটি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা এই ছেলেটির জন্য স্বপ্ন পূরণ করা সহজ ছিল না। কিন্তু তাঁর ইচ্ছাশক্তি আর দৃঢ়তা তাঁকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে।
আমি যখনই ধোনির কথা শুনি, তখনই মনে পড়ে যায় তাঁর অধিনায়কত্বের দিনগুলি। তিনি কীভাবে দলকে সংহত করতেন, প্রত্যেকের সামর্থ্য বুঝতেন এবং তাদের সেরাটুকু বের করে আনতেন, এটা দেখার মতো বিষয় ছিল। তাঁর অধীনে ভারত বিশ্বকাপেও জয়লাভ করেছে।
আরেকটি বিষয় যা আমাকে ধোনির কাছে এতটা টানে তা হল তাঁর আবেগহীনতা। চাপের মুখেও তিনি কখনও তাঁর শান্তভাব হারান না। এটা দেখে মনে হয় যেন তিনি সমস্ত কিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
ক্রিকেটের ময়দান ছেড়ে যাওয়ার পরেও ধোনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। তিনি একটি অনুপ্রেরণা, একজন আদর্শ। তাঁর কাহিনী আমাদের সবাইকে শেখায় যে যদি আমাদের মধ্যে স্বপ্ন থাকে এবং আমরা সেদিকে এগিয়ে যেতে পরিশ্রম করি, তাহলে আমরা অবশ্যই সফল হতে পারি।
ধোনির ক্রিকেট ক্যারিয়ার হয়তো শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু তাঁর উত্তরাধিকার সবসময়ই জীবিত থাকবে। তিনি ক্রিকেটের কিংবদন্তি, এবং তিনি সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অধিনায়ক।
ক্রিকেটের ময়দানে ধোনি কেবল একজন অধিনায়কই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন অনুপ্রেরণাও। তাঁর দৃঢ়তা, তাঁর আত্মবিশ্বাস এবং তাঁর চাপ সামলানোর ক্ষমতা আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করেছিল।
ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় দল বহু কৃতিত্ব অর্জন করেছে। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল 2011 সালের বিশ্বকাপ জয়। সেই মুহূর্তটি ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
ক্রিকেটের ময়দান ছাড়ার পরেও ধোনি জনপ্রিয়তায় কোনওদিন কমেননি। তিনি এখনও ভারতীয়দের একজন চেনা মুখ। তিনি বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেন এবং তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ অনুসারী রয়েছে।
ধোনি ক্রিকেট জগতের একজন আইকন। তিনি একজন অনুপ্রেরণা, একজন আদর্শ। তাঁর উত্তরাধিকার সবসময়ই জীবিত থাকবে।