ধনুর্বিদ্যা প্যারালিম্পিকস




ধনুর্বিদ্যা প্যারালিম্পিকস একটি আন্তর্জাতিক মাল্টি-স্পোর্ট ইভেন্ট যা শারীরিক দুর্বলতা সহ ক্রীড়াবিদদের জন্য অনুষ্ঠিত হয়। এটি প্যারালিম্পিক গেমসের অংশ হিসাবে আয়োজিত একটি শৈল্পিক ক্রীড়া।

ধনুর্বিদ্যা প্যারালিম্পিকস ১৯৬০ সালে ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত প্রথম প্যারালিম্পিক গেমসে সর্বপ্রথম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তখন থেকে, এটি প্যারালিম্পিক ক্যালেন্ডারের একটি নিয়মিত অনুষ্ঠান হিসাবে থেকেছে।

ধনুর্বিদ্যা প্যারালিম্পিকসের বিভিন্ন বিভাগ

ধনুর্বিদ্যা প্যারালিম্পিকসের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে, যা ক্রীড়াবিদদের দুর্বলতার মাত্রার উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। এই বিভাগগুলি অন্তর্ভুক্ত:

  • W1: উচ্চ মেরুদণ্ডের আঘাত সহ ক্রীড়াবিদরা, যারা হুইলচেয়ারে বসেন।
  • W2: মাঝারি বা নিম্ন মেরুদণ্ডের আঘাত সহ ক্রীড়াবিদরা, যারা দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারেন কিন্তু দৌড়াতে পারেন না।
  • ST: স্থায়ী অবস্থানে খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদরা, যাদের অঙ্গ বা শরীরের অন্য অংশে দুর্বলতা রয়েছে।
ধনুর্বিদ্যা প্যারালিম্পিকসে দক্ষতা

ধনুর্বিদ্যা প্যারালিম্পিকসের ক্রীড়াবিদদের শক্তি, নির্ভুলতা এবং সহনশীলতার মতো চমৎকার দক্ষতা প্রয়োজন। তারা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের লক্ষ্যে তীর ছোঁড়েন, যেমন:

  • নীচে থেকে টান: ক্রীড়াবিদরা তাদের হাতে ধনু ধরে এবং তারকে তীর দিয়ে প্রসারিত করে। তারপর, তারা কনুই বা কাঁধ থেকে তীর টেনে লক্ষ্যে তা ছোঁড়েন।
  • সামনে থেকে টান: ক্রীড়াবিদরা ধনুকে তাদের শরীরের সামনে ধরে এবং সামনে থেকে তীর টেনে লক্ষ্যে তা ছোঁড়েন।
  • মুখে টান: ক্রীড়াবিদরা তাদের মুখে আঁকড়ে ধনু ধরে এবং তীর টেনে লক্ষ্যে তা ছোঁড়েন।

ধনুর্বিদ্যা প্যারালিম্পিকসের ক্রীড়াবিদরা সাধারণত দূরবর্তী লক্ষ্যে তীর ছোঁড়েন, যা ৭০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত হতে পারে। তারা বিভিন্ন স্কোরিং সিস্টেম ব্যবহার করে তাদের পারফরম্যান্স পরিমাপ করেন।

উদাহরণ এবং ঘটনা

ধনুর্বিদ্যা প্যারালিম্পিকসের ইতিহাসে অনেক উল্লেখযোগ্য ক্রীড়াবিদ এবং ঘটনা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ কোরিয়ার ইম ডং-হিয়ন লিল্লি লিম তিনটি গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিক গেমসে পদক জিতেছেন, যার মধ্যে একটি স্বর্ণ পদকও রয়েছে।

২০২০ সালের টোকিও প্যারালিম্পিকসে, তুরস্কের এলমেতুয়ান বেরানিক ইন্টেলের অর্থায়নে ওয়ার্ল্ড আর্চারি প্রকল্পের অংশ হিসাবে পুরুষদের ব্যক্তিগত উচ্চ জয়যুক্ত ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। এই প্রকল্পটি শারীরিক দুর্বলতা সহ ক্রীড়াবিদদের ধনুর্বিদ্যায় অংশগ্রহণ করতে সহায়তা করে।

আবেদন এবং প্রভাব

ধনুর্বিদ্যা প্যারালিম্পিকস খেলাধুলার সীমানা ছাড়িয়ে যায়। এটি শারীরিক দুর্বলতা সহ ব্যক্তিদের শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং দক্ষতার অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।

এটি প্রত্যেকের জন্য খেলাধুলার গুরুত্বের উপরও আলোকপাত করে। ধনুর্বিদ্যা প্যারালিম্পিকস দেখায় যে সমস্ত বাধা অতিক্রম করেও অসামান্য সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।

উপসংহার

ধনুর্বিদ্যা প্যারালিম্পিকস শক্তি, নির্ভুলতা এবং স্থিতিস্থাপকতার একটি উদযাপন। এটি প্রতিযোগিতা এবং সহনশীলতার একটি ক্ষেত্র, যেখানে শারীরিক দুর্বলতা সহ ক্রীড়াবিদরা তাদের দক্ষতা দেখান এবং সীমানা অতিক্রম করেন।