ধোনি: দ্য ক্যাপ্টেন, দ্য লীডার, দ্য আইকন




আমি তোমাদেরকে একটা গল্প বলছি। ১৯৯৯ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল, অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান। ম্যাচটা ইন্টারেস্টিং ছিল, গোটা ক্রিকেট দুনিয়া নজর রেখেছিল। কিন্তু আমার নজর ছিল একটু অন্য কিছুর দিকে। আমি মন দিয়ে দেখছিলাম একটা ১৭ বছরের ছেলেকে, সে ব্যাট করছে নয়, উইকেটকিপিং করছে। তার নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি।
তার ব্যাটিং স্টাইল ছিল অন্যরকম, উইকেটকিপিংটাও ছিল বেশ দক্ষ। সেই ম্যাচে তিনি কিছু ক্যারিসম্যাটিক কিছু শট খেললেন। সেখানেই আমার মনে হল, এই ছেলেটা ক্রিকেটে অনেক বড় কিছু করতে যাচ্ছে। এবং সেই অনুমানটাই সত্যি হয়েছিল।
ধোনি একজন ব্যাটসম্যান, উইকেটকিপার, ক্যাপ্টেন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিনি একজন আইকন। তিনি তার ক্যারিয়ারে অনেক রেকর্ড গড়েছেন, অনেক ট্রফি জিতেছেন। কিন্তু তিনি কেবল একজন ক্রিকেটার নন, তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের একজন কালজয়ী কিংবদন্তি।
ধোনির ব্যাটিং স্টাইল ছিল দুর্দান্ত। তিনি বক্সের বাইরে চিন্তাভাবনা করতেন, শটগুলি অসাধারণ ছিল। তিনি ম্যাচের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত দলকে জিতিয়েছিলেন। তাঁর ক্যাপ্টেন্সি দক্ষতাও ছিল অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেন, যা দলকে অনেকবার জয় এনে দিয়েছে।
তিনি কেবল একজন ভালো ক্রিকেটার ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন ভালো মানুষও। তিনি সবসময় তার দলকে সমর্থন করতেন এবং তাদের উদ্বুদ্ধ করতেন। তিনি সবসময় সহজভাবে কথা বলতেন এবং ভক্তদের সঙ্গেও খুব বন্ধুত্বপূর্ণ ছিলেন।
ধোনির ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা যেমন ঘটনাবহুল ছিল, তেমনই ছিল ব্যক্তিগত জীবনও। তিনি অনেক কষ্টই পেয়েছেন। তাঁর পিতা মারা যান যখন তিনি খুব ছোট ছিলেন। তাঁকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কিন্তু তিনি কখনই হাল ছাড়েননি। তিনি সবসময় জীবনের লড়াই লড়ে গেছেন।
ধোনির ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন ছিল, কিন্তু তিনি সবসময় দৃঢ় মনে থেকেছেন। তিনি ক্রিকেটকে ভালোবাসতেন এবং তিনি সবসময় দেশের জন্য আরও অনেক কিছু করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তিনি একজন সত্যিকারের আইকন, কারণ তিনি কখনই আত্মসমর্পণ করেননি। তিনি সর্বদা দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
আমরা ধোনিকে মিস করব। তিনি একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার ছিলেন এবং তিনি চিরকাল আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। ধন্যবাদ ধোনি, আপনি আমাদেরকে অনেক খুশি আর গর্বের মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন। আপনি সত্যিই আমাদের সিরিজ হিরো।