ধরমবীর




কেমন আছেন, বন্ধুরা? আমি আজ এসেছি খুব অদ্ভুত একটা বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য। আমাদের চারপাশে এমন অনেক জিনিস ঘটে, যা আমাদের বিস্মিত করে বা কখনো কখনো ভয় পাইয়ে দেয়। আজকে আমরা ধরমবীর নামে এক অদ্ভুত ঘটনার কথা বলব, যা ঘটেছিল আমাদেরই এক প্রতিবেশীর সাথে।
ধরমবীর ছিল আমাদের গ্রামের এক সাদাসিধা ভদ্রলোক। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে শুরু করে তার জীবনে। সে স্বপ্নে বিভিন্ন রকম দেবতা, দেবী দেখতে পেতো। হঠাৎ করে তার দেহে অদ্ভুত রকমের শিহরণ শুরু হয়ে যেতো। আর কিছুক্ষণ পরে সে কাঁপতে শুরু করতো। শুরুতে সবাই মনে করতো সে অসুস্থ। কিন্তু ডাক্তার কী করবেন, কোনো রোগই তো তার নেই!
এইসব ঘটনা কিছুদিন চলার পরে ধরমবীরের কণ্ঠ কাঁপতে শুরু করে। মনে হয় যেন সে আর কেউ নয়, অন্য কেউ তার দেহে প্রবেশ করেছে। সে কথা বলা শুরু করে অদ্ভুত রকমের ভাষায়। কেউ কিছুই বুঝতে পারে না সে কী বলছে। কেউ কেউ বলে, "ধরমবীরের মধ্যে কোনো ভূত ঢুকেছে।" আবার কেউ কেউ বলে, "না, এটা কিছু অলৌকিক শক্তির খেলা।"
এরপর ধরমবীরের আচরণ আরো অদ্ভুত হতে থাকে। সে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, গাছে চড়ে বসে থাকে। মাঝে মাঝে সে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিজেকে ঠকঠকিয়ে মারে এবং চিৎকার করে। তার পরিবার তার অবস্থা দেখে ভয়ে মরে। কিন্তু প্রতিবেশীরা মনে করে, ধরমবীর পাগল হয়ে গেছে। কেউ কেউ তাকে মারধরও করে।
কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই ধরমবীরের সব অদ্ভুত ঘটনা বন্ধ হয়ে যায়। সে আবার আগের মতোই সাদাসিধা মানুষ হয়ে যায়। কিন্তু সেইসময়কার অভিজ্ঞতা সে কখনোই ভুলতে পারে না। সে বলে, "আমার মধ্যে কোনো দেবতা প্রবেশ করেছিলেন। তিনি আমাকে তাদের গোপন রহস্যগুলো বলেছেন।"
বন্ধুরা, ধরমবীরের ঘটনা সত্য নাকি মিথ্যা, সেটা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো ঠিক কথা পাওয়া যায়নি। কেউ কেউ বলে, সেটা ছিল একটি মানসিক রোগ। আবার কেউ কেউ বলে, তাকে ভূত-প্রেত লাগার শিকার হতে হয়েছিল। আর কিছু মানুষ ভাবে, এসব ঘটনায় হয়তো কোনো অলৌকিক শক্তির হাত আছে। কিন্তু যাই হোক না কেন, ধরমবীরের ঘটনাটি আমাদেরকে ভাবায়, আমাদের চারপাশে এমন অনেক জিনিস আছে, যা আমরা জানি না এবং বুঝতে পারি না।