আয়কর দিতে হয়, এই কথা শুনলেই সবার মাথায় হাত। একটা নির্দিষ্ট আয়ের উপরে উঠে গেলেই আয়কর দিতে হয়। সেই আয়ের উপরে একটি নির্দিষ্ট শতাংশ কর কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়। আয়কর এড়ানোর উপায় খুঁজছেন অনেকেই। আয়কর বাঁচানোর জন্য অনেকেই কিছু কিছু ধারার অধীনে ছাড়ের দাবি করেন। আবার নতুন আয়কর ব্যবস্থায় আয়কর দিতে হয় কি না, সেটা নিয়েও অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে। আজকে আমরা সেই বিষয়েই আলোচনা করব। নিয়মিত আয়ের ক্ষেত্রে পুরনো এবং নতুন কর ব্যবস্থা কীরকম, সেটা আমরা আজকে তুলনা করব।
আয়করের ক্ষেত্রে পুরনো কর ব্যবস্থা হল একটি বহু স্তরের ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় করদাতা তার আয়ের উপর আয়কর ছাড় দাবি করতে পারেন। এই ছাড়গুলি হল:
এছাড়াও, পুরনো কর ব্যবস্থায় করদাতারা তাদের আয়ের উপর আয়কর হিসাব করতে পারেন। এই আয়ের উপর করদাতারা রিবেট ছাড়ের দাবি করতে পারেন। এই রিবেট ছাড় হল একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ, যা করদাতারা তাদের আয়কর থেকে বাদ দিতে পারেন।
নতুন আয়কর ব্যবস্থা হল একটি অ-ব্যত্যয়ী ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় করদাতারা তাদের আয়ের উপর আয়কর ছাড় দাবি করতে পারেন না। তবে, এই ব্যবস্থায় করদাতারা তাদের আয়কর হিসাব করার সময় একটি স্ট্যান্ডার্ড ছাড় দাবি করতে পারেন। এই স্ট্যান্ডার্ড ছাড় হল 50,000 টাকা।
এছাড়াও, নতুন কর ব্যবস্থায় করদাতারা তাদের আয়ের উপর আয়কর দিতে হয়। এই আয়ের উপর করদাতারা কোনো রিবেট ছাড়ের দাবি করতে পারেন না।
নিম্নলিখিত টেবিলটি পুরনো এবং নতুন কর ব্যবস্থার মধ্যে তুলনা করে:
| বৈশিষ্ট্য | পুরনো কর ব্যবস্থা | নতুন কর ব্যবস্থা |কোন কর ব্যবস্থা আপনার জন্য উপযুক্ত, তা নির্ধারণ করার জন্য নিম্নলিখিত ফ্যাক্টরগুলি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ:
যদি আপনার আয় কম, আপনার অবসর কম এবং আপনার বিনিয়োগ কম, তাহলে নতুন কর ব্যবস্থা আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। কারণ, এই ব্যবস্থায় আপনাকে কোনো ছাড় দাবি করতে হয় না। ফলে, আপনার আয়কর হিসাব করা সহজ হয়।
যদি আপনার আয় বেশি, আপনার অবসর বেশি এবং আপনার বিনিয়োগ বেশি, তাহলে পুরনো কর ব্যবস্থা আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। কারণ, এই ব্যবস্থায় আপনি বিভিন্ন ছাড়ের দাবি করতে পারেন। ফলে, আপনার আয়কর হ্রাস পেতে পারে।
আপনি যদি আপনার কর ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আপনি নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
আপনি যদি আপনার কর ব্যবস্থা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন, তবে আপনার অবশ্যই আপনার আয়কর রিটার্ন পুনরায় জমা দিতে হবে।