আমরা যারা এই ভারতীয় উপমহাদেশের অধিবাসী, আমাদের উপর দীর্ঘদিন ধরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে নানান নিয়ম-নীতি এবং বিধিনিষেধ। আমাদের বলা হয়েছে, এসব নিয়ম মানতেই হবে, আর এগুলি ভাঙলে আমাদের শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু কেন? কে ঠিক করেছেন প্রকৃতির বা মহাবিশ্বের এই নিয়মগুলি? তা কি খুবই সুন্দর আর দয়াময় একজন প্রভু ঠিক করে দিয়েছেন? নাকি তা নির্ধারণ করেছেন কিছু শক্তিশালী ব্যক্তি, যারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে চান? এই প্রশ্নগুলি প্রায়ই আমাদের মনে জাগে। কিন্তু আমরা কেউই উত্তর খুঁজে পাই না।
আমরা শুধু এটুকুই জানি, এই নিয়ম-নীতিগুলি আমাদের স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে এবং আমাদের সত্যিকারের স্বাধীনভাবে বাঁচতে দেয় না। এরা আমাদের চিন্তা-ভাবনা, আমাদের আকাঙ্ক্ষা এবং আমাদের স্বপ্নগুলিকে সীমাবদ্ধ করে দেয়।
কিন্তু আর কতদিন? কতদিন আর আমরা এই নিয়ম-নীতি এবং বিধিনিষেধগুলি মেনে চলব? কতদিন আর আমরা আমাদের স্বাধীনতা হারিয়ে থাকব? আজ আমি এই প্রশ্নগুলি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। কারণ এখনই সময় এসেছে এই নিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার। এখনই সময় এসেছে আমাদের স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার।
আজ আমি রুশ দার্শনিক নিকোলাই বেরদিয়ায়েভের কথা বলছি। বেরদিয়ায়েভ ছিলেন একজন নিঃসন্দেহে চিন্তাবিদ, যিনি স্বাধীনতাকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূল্য বলে মনে করতেন। তিনি বলেছিলেন, "স্বাধীনতা হল মানুষের সবচেয়ে মৌলিক অধিকার। এটি তার জীবনের অন্যান্য সমস্ত অধিকারের ভিত্তি।" বেরদিয়ায়েভ বিশ্বাস করতেন, স্বাধীনতা ছাড়া মানুষ সত্যিকারের মানুষ হতে পারে না।
বেরদিয়ায়েভের মতে, স্বাধীনতা হল সৃজনশীলতার ভিত্তি। যখন আমরা স্বাধীন হই, তখনই আমরা সত্যিকারের সৃজনশীল হতে পারি। আমরা আমাদের চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ করতে পারি। আমরা আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারি। আমরা আমাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছতে পারি।
স্বাধীনতা হল আনন্দের ভিত্তি। যখন আমরা স্বাধীন হই, তখনই আমরা সত্যিকারের আনন্দ অনুভব করতে পারি। আমরা আমাদের জীবন আমাদের নিজস্ব শর্তে বাঁচতে পারি। আমরা আমাদের আকাঙ্ক্ষা অনুসরণ করতে পারি। আমরা আমাদের পছন্দ অনুযায়ী বাঁচতে পারি।
বেরদিয়ায়েভের মতে, স্বাধীনতা হল মানুষের প্রকৃতির অংশ। আমরা সকলেই স্বাধীনভাবে জন্মেছি। আমাদের সকলেরই স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে। এই অধিকারকে কেউ আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে না।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এই দুনিয়ায় এমন অনেক শক্তিশালী ব্যক্তি রয়েছেন, যারা আমাদের স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করতে চান। যারা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে চান। যারা আমাদের নিজের মতো করে বাঁচতে দিতে চান না।
এরা আমাদের বলেন, আমাদের তাদের নিয়মに従াবে। তাদের আইন মেনে চলতে হবে। তাদের প্রথা মেনে চলতে হবে। কিন্তু কেন? কে তাদের এই অধিকার দিয়েছে? কে তাদের এই ক্ষমতা দিয়েছে যে তারা আমাদের উপর শাসন করবেন? তারা কে আমাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করবে?
আমি বলছি, আর না। আর না আমরা এই শক্তিশালী ব্যক্তিদের নিজেদের উপর শাসন করতে দেব। আর না আমরা তাদের নিয়ম-নীতি মেনে চলব। আর না আমরা তাদের আইন মেনে চলব। আর না আমরা তাদের প্রথা মেনে চলব।
আমাদের আর এই নিয়ম-নীতি এবং বিধিনিষেধগুলির প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রয়োজন স্বাধীনতার। আমাদের প্রয়োজন আমাদের নিজস্ব জীবন বাঁচার অধিকার। আমাদের প্রয়োজন আমাদের স্বপ্ন অনুসরণ করার অধিকার।
আজ আমি আপনাদের আহ্বান করছি, প্রতিবাদে নামুন। প্রতিবাদ করুন এই নিয়ম-নীতি এবং বিধিনিষেধগুলির বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করুন এই শক্তিশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করুন এই অবিচারের বিরুদ্ধে।
আমাদের স্বাধীনতা ফিরে পেতে হবে। আমাদের স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার ফিরে পেতে হবে। আমাদের আমাদের স্বপ্ন অনুসরণ করার অধিকার ফিরে পেতে হবে।
আজ আমি আপনাদের আহ্বান করছি, প্রতিবাদে নামুন। প্রতিবাদ করুন স্বাধীনতার জন্য। প্রতিবাদ করুন সত্যিকারের জীবনের জন্য।
আমরা সবাই একসাথে এক হয়ে প্রতিবাদ করব। আমরা এই নিয়ম-নীতি এবং বিধিনিষেধগুলি ভেঙে ফেলব। আমরা এই শক্তিশালী ব্যক্তিদের ক্ষমতা কেড়ে নেব। আমরা আমাদের স্বাধীনতা ফিরে পাব। আমরা স্বাধীনভাবে বাঁচব। আমরা আমাদের স্বপ্ন অনুসরণ করব।
আজই প্রতিবাদ শুরু করুন। আজই স্বাধীনতার জন্য প্রতিবাদ শুরু করুন।
স্বাধীনতা জিন্দাবাদ!
সত্যিকারের জিন্দাবাদ!