নিজের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সাইরাস মিস্ত্রি




তিনি ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী এবং রতন টাটার পছন্দের উত্তরাধিকারী। তবে তার বোর্ডরুমে ঢোকার পরেই তিনি দেখেন যে সংস্থাটি তার চেয়ে অনেক বেশি জটিল এবং অদক্ষ। তিনি সংস্থার কাজের ক্ষেত্র নিয়ে গভীর ভাবে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন।

মিস্ত্রির এই সমালোচনাগুলি ভালভাবে গৃহীত হয়নি। টাটা গ্রুপের বোর্ড তাকে চেপে ধরতে শুরু করে। তাকে বলা হয় যে তিনি যদি সংস্থাটির বিরুদ্ধে কথা বলতে থাকেন, তাহলে তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হবে।

কিন্তু মিস্ত্রি তার অবস্থানে অটল ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সংস্থার মঙ্গলের জন্য তার সমালোচনাগুলি জরুরি। তিনি তাই তার অবস্থানে অটল থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

এই সিদ্ধান্তটি তার জন্য মূল্যবান ছিল। তাকে অবশেষে টাটা গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু, তিনি সততার পথে অটল থাকার জন্য নিজেকে প্রশংসা করতে পারেন।

মিস্ত্রির গল্প আমাদের শেখায় যে ভালো কাজ করা সবসময় সহজ নয়। তবে, এমনকি যখন আপনি বিরোধের সম্মুখীন হন, তখনও সততার পথে অটল থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

সাইরাস মিস্ত্রির জীবন ও কর্মের কিছু বিশেষ দিক

  • তিনি ভারতের বৃহত্তম ব্যবসায়িক গোষ্ঠী টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন।
  • তিনি নিজের মতামত প্রকাশে সবসময় স্পষ্টবাদী ছিলেন।
  • তিনি টাটা গ্রুপের একটি বড় সংস্কারের চেষ্টা করেছিলেন।
  • তার প্রচেষ্টার জন্য তাকে অবশেষে সংস্থা থেকে বের করে দেওয়া হয়।

সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যু

সেপ্টেম্বর 2022 সালে মিস্ত্রির একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। তিনি মাত্র 54 বছর বয়সী ছিলেন। তার মৃত্যু ভারতের ব্যবসায়িক জগতে একটি বড় ক্ষতি হিসেবে দেখা হয়।

উত্তরাধিকার

মিস্ত্রি একটি মিশ্র উত্তরাধিকার রেখে গেছেন। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন, কিন্তু তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্বও ছিলেন। এটা নিশ্চিত যে তিনি ভারতের ব্যবসায়িক জগতের একজন দুর্দান্ত ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং তাকে ভোলা যাবে না।