নেতাজি হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী যিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সশস্ত্র সংগ্রামের পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের সহায়তায় ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।
নেতাজির জন্ম ১৮৯৭ সালের ২৩শে জানুয়ারি ওড়িশার কটক শহরে। তিনি পিতা জানকীনাথ বসু এবং মাতা প্রভাবতী দেবীর নয় সন্তানের মধ্যে নবম সন্তান ছিলেন। তাঁর পিতা ছিলেন ওড়িশা প্রদেশের কটক জেলার প্লিহা আদালতের উকিল।
নেতাজি শৈশবেই মাতৃহারা হন। তাঁকে তাঁর মাতুলালশ নীলমণি ঘোষ লালন-পালন করেন। নীলমণি ঘোষ ছিলেন একজন জাতীয়তাবাদী এবং তিনি তাঁর ভাগ্নে সুভাষকে তাঁর রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে পরিচয় করান।
নেতাজি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি ১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতক উপাধি লাভ করেন। তিনি ১৯২১ সালে লন্ডনের কিংস কলেজে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার উদ্দেশে ভারত ত্যাগ করেন।
নেতাজি ১৯২১ সালের অক্টোবর মাসে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। তিনি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য সিভিল সার্ভিসে যোগদান করতে অস্বীকার করেন।
নেতাজি ১৯২২ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতে ফিরে আসেন এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন। তিনি খুব শীঘ্রই কংগ্রেসের উদীয়মান নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন এবং ১৯২৩ সালে কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।
নেতাজি ১৯৩০ সালে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সশস্ত্র সংগ্রামের পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জাপানের সহায়তা চেয়েছিলেন।
নেতাজি ১৯৪৩ সালের অক্টোবর মাসে জাপানের সহায়তায় ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি প্রতিষ্ঠা করেন। আজাদ হিন্দ ফৌজ নামেও পরিচিত এই বাহিনী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
নেতাজি ১৯৪৫ সালের ১৮ই আগস্ট তাইওয়ানের কাছে একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা।
নেতাজি ভারতের সবচেয়ে সম্মানিত রাজনৈতিক নেতাদের একজন। তিনি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং একজন জাতীয়তাবাদী ছিলেন। তাঁর মৃত্যু ভারতের জন্য একটি বড় ক্ষতি ছিল।
We use cookies and 3rd party services to recognize visitors, target ads and analyze site traffic.
By using this site you agree to this Privacy Policy.
Learn how to clear cookies here