নতুন বছর উদযাপনে আতসবাজির বিকৃতি




নতুন বছর উদযাপনে আতসবাজি একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু একটি সুন্দর স্মৃতির বদলে অনেক সময়ই এটা হয়ে দাঁড়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ। প্রতিবছরই নতুন বছর উদযাপনকে স্মরণীয় করতে গিয়ে আতসবাজির দুর্ঘটনা ঘটে।

যদিও আতসবাজি নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা বারবার সাবধান করছেন, তবুও অনেকেই কানে তুলছেন না তাদের কথা। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে খেলা করা, আতসবাজি ছোঁড়ার সময় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বেছে নেওয়া, এমন অনেক কারণেই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকেই আতসবাজি নিজেরাই বাড়িতে বানিয়ে ফেলেন। সেসব আতসবাজি নিয়ে ছেলেখেলা করাকে একেবারেই স্বাভাবিক মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, আতসবাজি তৈরির সময় ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ থেকে তৈরি ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট ও ঘুমের সময় শ্বাসকষ্টের মতো শারীরিক অসুবিধা দেখা দিতে পারে।

তারা জানান, আতসবাজিতে যে বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহৃত হয় তা ত্বক, চোখ ও শ্বাসনালিতে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এছাড়া হাঁপানি রোগীদের ক্ষেত্রেও আতসবাজির ধোঁয়া ক্ষতিকর।

তাই নতুন বছর উদযাপনের সময় চোখে সানগ্লাস ও হাতের জন্য গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও শিশুদের আতসবাজি থেকে যথেষ্ট দূরে রাখা উচিত।

আতসবাজি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষায় কিছু পরামর্শ

  • শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিক্রেতার কাছ থেকে আতসবাজি কিনুন।
  • আতসবাজি ব্যবহারের নির্দেশাবলী সাবধানে পড়ুন এবং অনুসরণ করুন।
  • আতসবাজি কখনই ঘরের ভেতরে, বালকনিতে বা জনবহুল এলাকায় ব্যবহার করবেন না।
  • আতসবাজি জ্বালানোর আগে চারপাশে জলের একটি বালতি বা হোস রাখুন।
  • আতসবাজি জ্বালানোর সময় সবসময় একটি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
  • আতসবাজি জ্বালানোর পর কখনই তার উপর ঝুঁকবেন না।
  • আতসবাজি ব্যবহারের পর নিশ্চিত করুন যে তা সম্পূর্ণভাবে নিভে গেছে।
  • আতসবাজি শিশুদের বা পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে রাখুন।