নববর্ষ




"নববর্ষ" উদযাপনের প্রচলন বিশ্বব্যাপী। এটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন রীতিনীতিতে পালিত হয়। বাংলাদেশে বর্ষবরণ হয় পহেলা বৈশাখে।

বাংলায় নববর্ষ উদযাপন

পহেলা বৈশাখ হল বাঙালি জাতির অন্যতম প্রധান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই দিনে বিশেষ করে লাল ও সাদা রঙের পোশাক পরা হয়। তরুণ ও বৃদ্ধ সবাই নতুন জামা কাপড় পরে এই দিন উদযাপন করে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। তারা রাজধানী ঢাকার রমনা বটমূলে জড়ো হয়। তারপর সেখান থেকে মিছিল আকারে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে বিভিন্ন গান, নাচ ও স্লোগান দেয়া হয়।
পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন খাবারের আয়োজন করা হয়। এই দিনে বিশেষভাবে খাওয়া হয় পান্তা ইলিশআম
নববর্ষের দিনে অনেকে মন্দির বা অন্য ধর্মীয় স্থানে গিয়ে পূজা অর্চনা করে। তারা তাদের পাপ ক্ষমা চায় এবং নতুন বছরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে।

বিদেশে নববর্ষ উদযাপন

বিভিন্ন দেশে নববর্ষ বিভিন্ন সময়ে উদযাপন করা হয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে ১ জানুয়ারি নববর্ষ হিসেবে পালন করা হয়। এদিন তারা বিশেষভাবে আতসবাজি ফুঁটানোর আয়োজন করে।
চীনা নববর্ষ চীনা বর্ষপঞ্জির প্রথম দিনে উদযাপন করা হয়। এটি সাধারণত জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে পড়ে। চীনা নববর্ষের উদযাপন চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিন। এই সময় মানুষেরা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটায়, বিশেষ খাবার খায় এবং আতসবাজি ফুঁটানোর আয়োজন করে।
ইসলামী নববর্ষ হিজরি বর্ষপঞ্জির প্রথম দিনে উদযাপন করা হয়। এটি মুহাম্মদ নবীর মদিনায় হিজরতের স্মরণে পালন করা হয়। ইসলামী নববর্ষের উদযাপনে বিশ্বের মুসলিমরা মসজিদে নামাজ আদায় করে, বিশেষ খাবার খায় এবং দানধ্যান করে।

পরিশেষ

নববর্ষ উদযাপন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রীতিনীতিতে পালিত হলেও এর উদ্দেশ্য একই। নববর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে মানুষেরা পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট ভুলে নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশা ও আশা নিয়ে যাত্রা শুরু করে।