ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে, নাভজ্যোত সিংহ সিধু একটি বিরল বস্তু, যিনি তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য এবং ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদের আকর্ষণীয় রূপান্তরের জন্য পরিচিত।
তেমনি একজন খেলোয়াড় যিনি তাঁর ক্রিকেট দক্ষতার জন্য বিখ্যাত, ক্যাপ্টেন হিসাবে সিধুর ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। তিনি তিনটি রঞ্জি ট্রফি শিরোপা জিতেছেন এবং ভারতীয় ক্রিকেট দলকেও সাফল্যে পরিচালনা করেছেন।
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর, সিধু রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং তখন থেকেই তিনি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং ২০১৭ সালে পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন।
একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে, সিধু তাঁর বক্তব্যের জন্য পরিচিত, যা প্রায়শই বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি পাকিস্তান সম্পর্কে তাঁর মন্তব্যের জন্য ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন, যা কেউ কেউ ভারত বিরোধী বলে মনে করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সাথে তাঁর বৈরিতার জন্যও পরিচিত, যা প্রকাশ্যে হয়েছে।
তার বিতর্কের সত্ত্বেও, সিধু পাঞ্জাবের রাজনীতিতে একটি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। তিনি ভোটারদের সাথে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ এবং জনসাধারণকে আকর্ষণ করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। তিনি একজন দক্ষ প্রচারক হিসাবেও পরিচিত, যিনি মঞ্চে একটি অনন্য শৈলী এনেছেন।
সিধুর সমালোচকরা তাঁকে একজন বিতর্ক উস্কে দেনেওয়ালা হিসাবে দেখেন, যিনি কোনো দায়িত্বের অনুভূতি ছাড়াই মন্তব্য করেন। তারা দাবি করেন যে তাঁর মন্তব্য ভারতের স্বার্থের পক্ষে ক্ষতিকর এবং তিনি রাজনীতিতে থাকার জন্য যোগ্য নন।
অন্যদিকে, সিধুর সমর্থকরা তাঁকে একজন নির্ভীক এবং সতত রাজনীতিবিদ হিসাবে দেখেন যিনি জনগণের কথা বলতে ভয় পান না। তারা দাবি করেন যে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার এবং এটিশব্দের বাইরে চিন্তা করার ইচ্ছার জন্য তিনি প্রশংসার দাবি রাখেন।
তাঁর সমর্থক বা সমালোচকই হোন না কেন, এটা স্পষ্ট যে নাভজ্যোত সিং সিধু ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি আকর্ষণীয় এবং বিরোধিতামূলক ব্যক্তিত্ব।
তিনি ভবিষ্যতে আরও বিতর্ক তৈরি করবেন কিনা বা তিনি অবশেষে তাঁর সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করবেন, শুধু সময়ই বলবে।