নির্জলা একাদশী ব্রত: সঙ্গে রাখুন এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি
এই বছরের নির্জলা একাদশী আসছে ২রা জুন, শুক্রবার। হিন্দুদের কাছে এই ব্রত একাদশী ব্রতের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই ব্রত পালন করা হয় জলপান ত্যাগ করে।
কেন জলপান ত্যাগ করা?
একাদশী তিথি ভগবান বিষ্ণুর পুজোর জন্য পবিত্র বলে মনে করা হয়। নির্জলা একাদশীতে জলপান ত্যাগ করা হয় কারণ এটি বিশ্বাস করা হয় যে, এই সময় ভগবান বিষ্ণু যোগনিদ্রায় থাকেন এবং তাঁর শরীরে ঘাম হিসেবে যে জল বের হয়, তা পৃথিবীতে নদী, সাগর ও হ্রদ হিসাবে আবির্ভূত হয়। সেই কারণে, এই দিন জলপান ত্যাগ করা হয় বিষ্ণুর সেই ঘামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য।
ব্রতের নিয়ম:
নির্জলা একাদশী ব্রত পালনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম রয়েছে:
- দশমী তিথির সূর্যাস্তের পর থেকে একাদশী তিথির সূর্যাস্ত পর্যন্ত জলপান ত্যাগ করতে হবে।
- এই ব্রতের দিন বিষ্ণুর পুজো করা হয়।
- ব্রত পালনকারীদের এই দিন ফল, দুধ বা দই খেতে নিষেধ রয়েছে।
- ব্রতকারীদের রাতে জাগরণ করতে হয় এবং বিষ্ণুর কথা স্মরণ করে জপ ও ধ্যান করতে হয়।
- একাদশী তিথির সূর্যাস্তের পর স্বল্প আহার গ্রহণ করা হয়।
ব্রতের উপকারিতা:
নির্জলা একাদশী ব্রত পালন করা হয় বেশ কয়েকটি উপকারিতা পাওয়ার জন্য:
- এটি আধ্যাত্মিক মনোশক্তি বৃদ্ধি করে।
- জলপান ত্যাগ করার ফলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হওয়া বেড়ে যায়।
- এই ব্রত পালন করা হলে মন পবিত্র হয়।
- এটি হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
- নির্জলা একাদশী ব্রত পালনকারীদের ভাগ্য উন্নত হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
জল ছাড়া উপোস করা কেমন অনুভূতি?
জল ছাড়া একাদশী ব্রত পালন करना অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এটি আধ্যাত্মিক মনোশক্তি বৃদ্ধির একটি দুর্দান্ত উপায়। জল না খেয়ে ব্রত পালন করার ফলে মন ও শরীর উভয়ই পবিত্র হয়।
আসুন এই নির্জলা একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ নিই এবং একাদশী তিথির মাহাত্ম্য উপলব্ধি করি।