মোদীর জীবন ছিল চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্যের মিশ্রণ। তিনি গুজরাটের একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি সামাজিক ন্যায়বিচার এবং দেশের উন্নয়নে আগ্রহী ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং রাজনীতিতে যোগ দেন।
মোদী ১৯৯৫ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি রাজ্য শাসন করেছেন, এই সময়কে তিনি উন্নয়ন, বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের সময়কাল হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করে এবং রাজ্যের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
২০১৪ সালে মোদী ভারতের ১৫তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। নির্বাচনী প্রচারে তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক সংস্কার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি অর্থনীতি সংস্কার, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং রক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি সহ একাধিক উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন।
মোদীর নেতৃত্ব অসংখ্য বিতর্ক এবং সমালোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার সমালোচকরা তাকে একজন কর্তৃত্ববাদী নেতা হিসেবে দেখেন যিনি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করছেন এবং মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। তারা তার অর্থনৈতিক নীতিগুলির জন্যও সমালোচনা করেছেন, যা তাদের মতে বেনিফিটের মালিকদের উপকারে করেছে।
যাইহোক, মোদীর সমর্থকরা তাকে একজন দৃঢ় নেতা হিসেবে দেখেন যিনি দেশকে পথে ফিরিয়ে আনতে সাহসী পদক্ষেপ নিতে ইচ্ছুক। তারা তার নীতিগুলির জন্য তার প্রশংসা করে, যা তাদের মতে দেশের উন্নয়ন এবং বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
গত কয়েক দশক ধরে ভারতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একজন হলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের সময়কে প্রবৃদ্ধি, সংস্কার এবং দৃঢ় নেতৃত্বের সময় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর লেগ্যাসির প্রভাব আগামী বছরগুলিতে ভারতকে আকৃতি দেওয়ার জন্য নিশ্চিত।