নির্বাচনী উপকূল দক্ষিণ তথা মেঘালয়ে উল্টোঝাপের লড়াই




আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের গণনা শুরুর আগে এবারের নির্বাচনের ভবিষ্যৎবাণী করার চেষ্টা করছে বিভিন্ন তথাকথিত একজিট পোল। নানা সংস্থার নানা রকমের জরিপের ফলও আসতে শুরু করেছে। তার বেশির ভাগেই কিছুটা সাদৃশ্য থাকলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে আকাশ-পাতাল তফাত দৃশ্যমান। সাধারণ নিয়ম হল একই নিয়ন্ত্রক হিসেব, একই অঞ্চলের ভোটারদের নিয়ে নানা সংস্থার হিসেব মোটামুটি একই ধরনের হয়ে থাকে। কিন্তু এবার অনেক ক্ষেত্রেই বিস্তর তফাত দেখা যাচ্ছে। তবে তাতে কিছু না কিছু ধারণা করা যায়।
প্রথমত, দক্ষিণ ভারতের বিষয়ে। এই ক্ষেত্রে অধিকাংশ সংস্থা মোটামুটি একমত। অন্ধ্রের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় জায়গায় জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে তেলুগুদেশম পার্টির। শুধু একটি সংস্থা বিজেপি-জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। একে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। তামিলনাড়ুর ক্ষেত্রে দ্রমুকের জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করছে সব সংস্থাই। শুধু একটি জাতীয় পর্যায়ের সংস্থা এআইএডিএমকে এবং দ্রমুকের মধ্যে কড়া লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে। আদৌ কোনো লড়াই হবে কিনা, সেটিই এখন প্রশ্ন। কেরলে বামফ্রন্ট জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করছে বেশিরভাগ সংস্থা। এখানে বিজেপি-র কিছু উল্লেখযোগ্য জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে একটি-দুটি সংস্থা।
দক্ষিণ ভারতের এই জায়গাগুলির মধ্যে আলাদা অবস্থান কর্নাটকের। এখানে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে প্রায় সমান সংখ্যক জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছে বিভিন্ন সংস্থা। কয়েকটিতে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। জেডিএস নিজের অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াইয়ে ব্যস্ত। কোনো কোনো সংস্থা তাদের চার-পাঁচটি জায়গায় জয়ের কথা বললেও বেশিরভাগই মনে করছে, এই রাজ্যে জেডিএস-এর পক্ষে বেশি জায়গায় জয় পাওয়া কঠিন হবে।
পশ্চিম ভারতে মহারাষ্ট্রের বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণীতে অনেক তফাৎ রয়েছে। কিছু সংস্থা শিব সেনা-বিজেপি জোটের বিশাল জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করছে। শুধু একটি সংস্থা তাদের বেশ খানা জায়গা হারানোর কথা বলছে। অন্যদিকে, এনসিপি-কংগ্রেস জোটের বিশাল জয়ের কথা বলছে অন্য কয়েকটি সংস্থা। এক্ষেত্রেও বাস্তব কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, শরদ পাওয়ারের শরীর কতটা সহ্য করতে পারে। তিনি যদি আগামী কয়েক মাস সক্রিয় না থাকতে পারেন, তাহলে কংগ্রেসের সঙ্গে একসঙ্গে লড়াই করাটা অনেক কঠিন হবে।
গোয়া ও গুজরাটে যথাক্রমে বিজেপি ও কংগ্রেসের বিশাল জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে। মধ্য ভারতে মধ্য প্রদেশের বিষয়েও প্রায় সব সংস্থা একমত। এখানে বিজেপি বেশ স্বচ্ছন্দে জয়ী হচ্ছে। শুধু একটি সংস্থা কংগ্রেসের কিছুটা ভালো ফলের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ছত্তিশগড়েও একই অবস্থা। এখানে কংগ্রেসকে অনেকটা এগিয়ে রাখা হচ্ছে। শুধু একটি সংস্থা বিজেপিকে সামান্য এগিয়ে রেখেছে। রাজস্থানের বিষয়ে দারুণ তফাত রয়েছে। বেশিরভাগ সংস্থা বিজেপি-র বিশাল জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। শুধু একটি সংস্থা কংগ্রেসকে বিশাল জয়ের দিকে এগিয়ে দিয়েছে। মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের উপরে সকলের নজর থাকবে।
বাংলার বিষয়ে অধিকাংশ সংস্থা মোটামুটি একমত। তৃণমূলের আরেকটি বিশাল জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে। কেউ কেউ জানাচ্ছে, তারা আগের চেয়েও বেশি জায়গায় জিতবে। কারণ, বিজেপি যথেষ্ট শক্তিশালী কোনো বিরোধী হিসেবে দেখা দিতে পারেনি। অন্যদিকে, সিপিএম-কংগ্রেস জোট আগের চেয়ে আরও দুর্বল। বিজেপিকে চার-পাঁচটি আসনে জয়ের কথা বলছে ভিন্ন ভিন্ন সংস্থা। কিন্তু সেগুলির পক্ষে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তাদের নিজেদের ভোটগুলিই।
উত্তর ভারতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য হল উত্তর প্রদেশ। এখানে বিজেপির কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে সব একজিট পোল। তাদের অনেকেই দাবি করছে, বিজেপির জন্য যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় লাভ হয়েছে। তবে কংগ্রেসের কিছুটা ভালো ফলের কথাও বলা হচ্ছে। তবে সব মিলিয়ে এখানে বিজেপিরই সরকার তৈরির সম্ভাবনা।
দিল্লির ক্ষেত্রেও বিজেপির বিশাল জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে। আজাদী পরবর্তী সময়ে প্রথমবার একটি দল টানা তিন বার দিল্লি শাসন করতে পারে। এই রাজ্যের ক্ষেত্রেও যোগী আদিত্যনাথের অর্জুন রামপালের প্রার্থীতার কিছুটা সুবিধে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণ উত্তর প্রদেশ, বিহার ও উত্তরাখণ্ডের বিষয়েও গোটাগোটা বিষয়টা পরিষ্কার নয়। সব একজিট পোল মনে করছে, বিজেপি এখানেও যথে