নির্বাচন কমিশন




তোমাদের মনে হয়, নির্বাচন কমিশন চাইলেই ভোটগুলোর ফলাফল বদলাতে পারে? অনেকেই বিশ্বাস করেন, তা পারে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এই প্রশ্নটা নিয়ে আজকে আমরা একটু কথা বলবো।
আমরা সবাই জানি, নির্বাচন কমিশন হলো একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ সংস্থা। তাদের কাজ হলো নিরপেক্ষ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা। কিন্তু কীভাবে নির্বাচন কমিশন এই নিরপেক্ষতা বজায় রাখে?
এটি আসলেই একটি কঠিন কাজ। কারণ, নির্বাচন কমিশন সরকার দ্বারা নিযুক্ত হয়। এবং সরকার সবসময় নিজের স্বার্থে কাজ করে। তাই, সরকার নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ দিয়ে, নিজেদের পছন্দের ফলাফল পেতে পারে।
তবে, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ রাখার জন্য কয়েকটি ব্যবস্থা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য নিযুক্ত হন। এবং তাদের শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতিই অপসারণ করতে পারেন। এটি সরকারকে নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ দেওয়া থেকে কিছুটা আটকায়।
এছাড়াও, নির্বাচন কমিশন একটি স্ব-শাসিত সংস্থা। এর নিজস্ব আইনি কর্মকর্তা এবং কর্মচারী রয়েছে। অর্থাৎ, সরকার নির্বাচন কমিশনের দৈনন্দিন কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
তবে, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, নির্বাচন কমিশনও নিখুঁত নয়। সময়ে সময়ে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সাধারণত, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ সংস্থা হিসাবে কাজ করে।
তাহলে কী নির্বাচন কমিশন ফলাফল বদলাতে পারে? তাত্ত্বিকভাবে, হ্যাঁ। কিন্তু বাস্তবে, এটা খুবই কঠিন হবে। কারণ, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ। এবং এটি সরকারের চাপ থেকেও সুরক্ষিত।