আমাদের সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের একজন হলেন নির্মলা সীতারামন। ভারতের অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি সরকারের অর্থনৈতিক নীতির জন্য দায়ী এবং তিনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচলিত হওয়ার জন্য পরিচিত।
সীতারামনের কর্মজীবন ছিল উত্থান-পতনের। তিনি একজন জার্নালিস্ট এবং অ্যাকাডেমিক হিসাবে কাজ করেছেন এবং ১৯৯৬ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তিনি রাজ্যসভার সদস্য এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রী দুটি পদেই দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০১৯ সালে তাকে অর্থমন্ত্রী করা হয়েছে।
সীতারামন তার শক্ত এবং অবিচলিত নীতির জন্য পরিচিত। তিনি সংস্কারের একজন প্রবক্তা এবং তিনি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ এবং কালো অর্থ উन्मूलনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি আইপিও এবং এফডিআই-এর মাধ্যমে অর্থসংগ্রহের পাশাপাশি অর্থনীতিতে বিদেশী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্যও কাজ করেছেন।
সমালোচকরা সীতারামনের নীতিগুলির প্রতি তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যুক্তি দিয়েছেন যে তাদের গরিব এবং মধ্যবিত্তের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে সীতারামন তার নীতিগুলি রক্ষা করে বলেছেন যে দীর্ঘমেয়াদে সব ভারতীয়দের উপকার হবে।
সীতারামন একটি বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব, তবে তিনি নিঃসন্দে ভারতীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তিনি একটি দুঃসাহসী এবং স্বাধীন চিন্তাবিদ এবং ভবিষ্যতে তিনি কী অর্জন করবেন তা দেখা উত্তেজনাপূর্ণ হবে।
সীতারামনের নীতিগুলি ভারতীয় অর্থনীতির উপর মিশ্র প্রভাব ফেলেছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে তার নীতিগুলি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ এবং কালো অর্থ উन्मূলনের জন্য সাহায্য করেছে। অন্যরা যুক্তি দেয় যে তার নীতিগুলির গরিব এবং মধ্যবিত্তের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সীতারামনের নীতিগুলির প্রধান প্রভাবগুলির মধ্যে একটি হল মূল্যবৃদ্ধি হ্রাস। সীতারামনের নীতিগুলি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে বলে মনে করা হয়। সরকারের উপাত্ত অনুযায়ী, ভারতে মুদ্রাস্ফীতির হার ২০১৯ সালে ৪.৭ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ২.৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
সীতারামনের নীতিগুলি কালো অর্থ উन्मূলনেও সহায়ক বলে মনে করা হয়। সরকারের উপাত্ত অনুযায়ী, কালো অর্থের পরিমাণ ২০১৯ সালে ১২.৭ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ২০২৩ সালে ৭.২ লক্ষ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
যাইহোক, সীতারামনের নীতিগুলির কিছু নেতিবাচক প্রভাবও ছিল। উদাহরণস্বরূপ, তার নীতিগুলি আर्थিক ধীরগতির দিকে পরিচালিত করেছে। সরকারের উপাত্ত অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতের সামগ্রিক ঘরোয়া পণ্যের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে।
সীতারামনের একটি প্রস্তাব হল প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। তিনি বিশ্বাস করেন যে প্রযুক্তি অর্থনীতির উন্নয়নে এবং নতুন সুযোগ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি ইতিমধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের জন্য তহবিল ঘোষণা করেছেন।
সীতারামনের আরেকটি প্রস্তাব হল পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। তিনি বিশ্বাস করেন যে ভাল পরিকাঠামো অর্থনীতিতে বিনিয়োগ প্রচার করতে এবং সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে। তিনি ইতিমধ্যে রাস্তা, রেলপথ এবং বন্দরগুলিতে বিনিয়োগের জন্য তহবিল ঘোষণা করেছেন।
সীতারামনের প্রস্তাবগুলি মিশ্র প্রতিক্রিয়া অর্জন করেছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে তার প্রস্তাব ভারতীয় অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। অন্যরা যুক্তি দেয় যে তার প্রস্তাবগুলি দরিদ্র এবং মধ্যবিত্তের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সীতারামনের প্রস্তাবগুলি কার্যকর হবে কিনা তা বলা শক্ত। তবে তিনি অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি একটি দুঃসাহসী এবং স্বাধীন চিন্তাবিদ এবং ভবিষ্যতে তিনি কী অর্জন করবেন তা দেখা উত্তেজনাপূর্ণ হবে।