নারায়ণবাঘুলের অদৃশ্য গল্প
ব্যাঙের বাদ্য বাজে সারাদিন, তাতে নৃত্য করে ভূত পিশাচিন। কিন্তু এই ভূতের দল কী করে খেয়ে বেঁচে থাকে, কেউ কি জানো? তারা তো কিছুই খেতে পারে না, তবুও তো তাদের পেটের জ্বালা থাকে। তাই তারা মানুষের দেওয়া ভোগ খায়। কিংবা মানুষের দরকারি জিনিস লুকিয়ে রাখে। আর তাদের একমাত্র শত্রু হল বিড়াল। কারণ বিড়ালের চোখে আছে ভূত-পিশাচ দেখার ক্ষমতা। তাই বিড়ালের সামনে ভূতের দাঁড়ানো কঠিন।
কথাটা আজকাল আর কেউ বিশ্বাস করে না। কেউ কেউ বলে, এগুলো গল্প, শুধুই গল্প। কিন্তু আমার মনে হয়, এসব গল্পের মধ্যে অলৌকিক কিছু হয়তো সত্যি আছে। কেননা আমি নিজে এমন অনেক ঘটনার সাক্ষী, যা বিজ্ঞানের সীমানা ছাড়িয়ে গেছে।
আমার বাড়ির পাশেই ছিল একটি পুরোনো বাড়ি। সেই বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কোথা থেকে যেন একটা শব্দ আসতো। কাউকে দেখা যেত না। শুধু শব্দ আসতো। অনেকেই মনে করতো সেখানে ভূত আছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করতাম না। আমার মনে হতো হয়তো ইঁদুর বা ব্যাঙের আওয়াজ হবে।
একদিন রাতের বেলায় আমার বাবার সঙ্গে সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই আমার বাবা থমকে দাঁড়ালেন। তিনি আমাকে বললেন, "ওদিকে দেখ, কেউ দাঁড়িয়ে আছে।"
আমি তাকাতেই দেখি, একটি সাদা পোশাক পরা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার চুল খোলা, চোখ দুটো লালচে। আমি ভীষণ ভয় পেয়ে গেলাম। আমার বাবাও আতঙ্কিত হয়ে পড়লেন। তিনি আমাকে বললেন, "চল, এখান থেকে চলে যাই।"
আমরা দ্রুত সেখান থেকে চলে এলাম। কিন্তু আমার মনে সবসময়ই একটা প্রশ্ন ছিল, সেই মেয়ে কে ছিল? সে কি সত্যিই ভূত ছিল? নাকি আমরা ভুল দেখেছিলাম?
আমার প্রশ্নের উত্তর কখনো পাইনি। কিন্তু আমি এখনও বিশ্বাস করি, সেদিন আমরা যা দেখেছিলাম তা ভূত ছিল। কারণ, সেইদিনের পর থেকেই আমার বাড়ির পাশের সেই পুরোনো বাড়িতে আর কেউ থাকে না। লোকে বলে, সেখানে এখনও ভূতের বাস।
ভূত আছে কি নেই, তা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। কিন্তু আমি মনে করি, ভূতের অস্তিত্ব অস্বীকার করা যায় না। কারণ, আমাদের চারপাশে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যা আমরা ব্যাখ্যা করতে পারি না। তাই আমার বিশ্বাস, ভূত আছে।
তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, বিড়াল আছে।