নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়




সমুদ্রের তীরে একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু এর নাম নয় অক্সফোর্ড কিংবা ক্যামব্রিজ, প্রাচীন ভারতের নালন্দা। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একসময় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শিক্ষা কেন্দ্র ছিল।
আজ থেকে আনুমানিক ১,৫০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত নালন্দা ছিল একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র। এখানে চীন, পারস্য, কোরিয়া, জাপান, তিব্বত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১০টি বিশাল মঠ নিয়ে গঠিত ছিল এবং এটি একটি প্রাচীর দ্বারা ঘিরে রাখা হয়েছিল।
নালন্দার পাঠ্যক্রমটি ছিল খুবই বিস্তৃত। এখানে বৌদ্ধধর্ম, দর্শন, যুক্তি, ভাষা, ব্যাকরণ, সংস্কৃত, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং গণিত বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হত। বিখ্যাত পণ্ডিতরা নালন্দায় শিক্ষাদান করতেন।
  • নালন্দার সবচেয়ে বিখ্যাত শিক্ষার্থীদের একজন ছিলেন হিউয়েন সাং। তিনি ছিলেন একজন চীনা বৌদ্ধ ভিক্ষু, যিনি ৭ম শতকে নালন্দায় পড়াশোনা করেছিলেন।
  • আরেকজন বিখ্যাত শিক্ষার্থী ছিলেন ই-চিং। তিনিও ছিলেন একজন চীনা বৌদ্ধ ভিক্ষু, যিনি ৭ম শতকে নালন্দায় পড়াশোনা করেছিলেন।
  • নালন্দার সবচেয়ে বিখ্যাত শিক্ষকদের একজন ছিলেন শীলভদ্র। তিনি ছিলেন একজন বৌদ্ধ দার্শনিক, যিনি ৭ম শতকে নালন্দায় শিক্ষাদান করেছিলেন।
নালন্দাকে কখনো "প্রাচীন বিশ্বের প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়" বলা হয়। এখানে থাকা এবং পড়াশোনা করার জন্য ছাত্রদের সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। নালন্দায় একটি বিশাল গ্রন্থাগার ছিল।
যা গ্রন্থ এবং পাণ্ডুলিপির একটি বিশাল সংগ্রহ ছিল।

δυστυχώς, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়টি ১২তম শতকে তুর্কি আক্রমণকারীদের দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল। তবে, এটি এখনও ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে থেকে হাজার হাজার পর্যটক নালন্দা দেখতে আসেন।