নিঃশব্দতার আলো
আমি আজকে নিঃশব্দতার কথা বলতে এসেছি, কিন্তু মনে হচ্ছে কী তা লিখব? শব্দ ছাড়া নিঃশব্দতা কীভাবে বর্ণনা করব? কিন্তু আমি চেষ্টা করব।
আমি জীবনের অনেক কঠিন সময় অতিক্রম করেছি, যে সময়গুলো আমাকে নির্বাক করেছে। তখন কোনো শব্দ আমার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারত না। শুধুমাত্র নিঃশব্দতা আমার সাথী ছিল, আমার অশ্রুকে লুকিয়ে রাখার জায়গা।
তবে নিঃশব্দতা միমাত্র কষ্টের সাথী নয়। এটি শান্তির, প্রশান্তির এবং স্বচ্ছতারও সঙ্গী। প্রাকৃতিক পরিবেশে নিমজ্জিত হওয়ার সময়, যখন আমরা পাহাড়ের ঢালে ঘুরে বেড়াই, সমুদ্রের তীরে বসি বা বনের মধ্যে হাঁটি, তখন আমরা নিঃশব্দতার আসল শক্তি অনুভব করতে পারি। প্রকৃতির নিজস্ব একটি রিদম আছে, একটি সুর আছে; কিন্তু এটি শুধুমাত্র নিঃশব্দতার মধ্যেই শোনা যায়।
আমাদের জীবনেও নিঃশব্দতার জায়গা আছে। আমাদের মনকে অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনা থেকে রেহাই দিতে, সত্যিকারের নিজের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে নিঃশব্দতা আমাদের সহায়তা করতে পারে। ধ্যান, যোগ বা সহজভাবে প্রকৃতির সাথে একাকী সময় কাটানো আমাদের মধ্যে নিঃশব্দতার অভ্যন্তরীণ উৎস খুঁজে পাওয়ার সুযোগ দেয়।
নিঃশব্দতা এমন একটি জায়গা যেখানে আমরা আমাদের আত্মার কথা শুনতে পারি, আমাদের অন্তরের সুর শুনতে পারি। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে আমরা আমাদের সত্যিকারের নিজেদের সাথে সংযোগ করতে পারি।
আমি আপনাদেরকে নিঃশব্দতার শক্তি অন্বেষণ করতে উৎসাহিত করি। শব্দের দুনিয়ার বাইরে একটি পুরো জগৎ রয়েছে, যেটা অপেক্ষা করছে আপনাকে জানতে এবং আবিষ্কার করতে।
আর মনে রাখবেন, কিছু কথার চেয়ে নিঃশব্দতা বেশি কিছু বলতে পারে। তাই পরের বার যখন আপনি নিজেকে নির্বাক বোধ করবেন, তখন তা কোনো দুর্বলতা হিসেবে না দেখে একে একটি সুযোগ হিসেবে নিন, নিঃশব্দতার মধ্যে আলো খোঁজার জন্য। আপনি কী পান তা দিয়ে আপনি হয়ত অবাক হয়ে যাবেন।