নীশা দহিয়া




আমার দেশে, কুস্তি সবসময়ই পুরুষের খেলা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কিন্তু নীশা দহিয়া এই দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন এবং এখন তিনি ভারতের সবচেয়ে সফল মহিলা কুস্তিগীরদের একজন।
নীশা দহিয়া ১৯৯৭ সালের ২২ নভেম্বর হরিয়ানার সোনিপতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একটি কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠেন। নীশার পিতা, সুভাষ দহিয়া, একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন এবং তাঁর মা, মধু, একজন গৃহিণী ছিলেন। নীশার দুটি বড় ভাই এবং একটি বড় বোন রয়েছে।
নীশা যখন আট বছর বয়সী ছিলেন, তখন তাঁর পিতা তাঁকে স্থানীয় আখড়ায় কুস্তি প্রশিক্ষণ নিতে নিয়ে যান। প্রথমে নীশা কুস্তি করতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু ধীরে ধীরে এটি তাঁর প্রিয় খেলায় পরিণত হয়। নীশা খুব দ্রুতই কুস্তিতে দক্ষতা অর্জন করেন এবং বিভিন্ন রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে শুরু করেন।
২০১০ সালে, নীশা প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ৫৫ কেজি ওজনশ্রেণিতে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন। পরের বছর, তিনি ৬৩ কেজি ওজনশ্রেণিতে রৌপ্য পদক জেতেন। ২০১২ সালে, তিনি ৬৭ কেজি ওজনশ্রেণিতে তাঁর প্রথম জাতীয় স্বর্ণপদক জেতেন।
২০১৩ সালে, নীশা আন্তর্জাতিক स्तरे আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য পদক জেতেন। পরের বছর, তিনি উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জেতেন।
২০১৬ সালে, নীশা রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ৬৯ কেজি ওজনশ্রেণিতে অংশগ্রহণ করেন এবং ১৬তম স্থানে শেষ করেন।
২০১৭ সালে, নীশা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর দ্বিতীয় স্বর্ণপদক জেতেন। পরের বছর, তিনি কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জেতেন।
২০১৯ সালে, নীশা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য পদক জেতেন। এটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর তৃতীয় পদক ছিল।
নীশা দহিয়া ভারতের সবচেয়ে সফল মহিলা কুস্তিগীরদের একজন। তিনি একজন প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ এবং তিনি মহিলা কুস্তির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। নীশা তাঁর দেশ এবং সম্প্রদায়ের জন্য একজন রোল মডেল এবং তিনি আগামী প্রজন্মের ক্রীড়াবিদদের অনুপ্রাণিত করতে থাকবেন বলে আশা করা যায়।