পিওকে-র দিকে সবার নজর




পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) নিয়ে আবার উত্তেজনা শুরু হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে বারবার জানানো হচ্ছে যে, পিওকে ভারতের অংশ এবং একদিন ভারত এটি ফিরে পাবে। এই দাবির জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, পিওকে কখনোই ভারতের হবে না। তিনি এটিকে পাকিস্তানের "অবিচ্ছেদ্য অংশ" বলে অভিহিত করেছেন।

ভারত এবং পাকিস্তানের এই দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলে আসছে। ভারতের দাবি হল যে, পিওকে ছিল ভারতের একটি রাজ্য, যা 1947 সালে পাকিস্তান আক্রমণ করে দখল করে নিয়েছে। অপরদিকে, পাকিস্তানের দাবি হল যে, পিওকে একটি স্বাধীন রাজ্য, যা পাকিস্তানের সাথে অস্থায়ীভাবে যুক্ত হয়েছে।

এই দুই দাবির কোনটি সঠিক, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে কোনো মামলা হয়নি। ফলে, পিওকে কারও অধীনে আসবে, তা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত থাকবে।

এই বিতর্কের মধ্যেই ভারত পিওকে-তে ঘটে যাওয়া লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারতের দাবি হল যে, পাকিস্তান সীমান্ত লঙ্ঘন করে পিওকে-তে ঢুকেছে। অপরদিকে, পাকিস্তান এই দাবি অস্বীকার করেছে।

এই লঙ্ঘনের ঘটনার ফলে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ভারত সীমান্তে সতর্কতা বাড়িয়েছে। পাকিস্তানও সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে।

  • এই পরিস্থিতিতে পিওকে নিয়ে বিতর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ভারত এবং পাকিস্তানের এই দ্বন্দ্বকে কীভাবে সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

যদি এই দ্বন্দ্বের কোনো শান্তিপূর্ণ সমাধান না হয়, তাহলে এটি দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

এই দ্বন্দ্বের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ করা উচিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ভারত এবং পাকিস্তানকে একটি টেবিলে নিয়ে আসা এবং দ্বন্দ্বের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান নিয়ে আলোচনা করা।

পিওকে নিয়ে এই বিতর্কের শান্তিপূর্ণ সমাধান অত্যন্ত জরুরি। কারণ, এই বিতর্কের ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।