পিওকে- উপলক্ষ এবং মূল্য
"পিওকে" কথাটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি আবেগঘন বিষয়। এটি একটি বিষয় যা মানুষের মনকে উত্তেজিত করে, এবং প্রায়ই তুমুল বিতর্কের জন্ম দেয়। কিন্তু "পিওকে" কী? এবং কেন এটি এতো গুরুত্বপূর্ণ?
কাশ্মীরের জন্য পাকিস্তান কর্তৃক দাবী করা অংশকেই "পিওকে" বলা হয়। কাশ্মীর এমন একটি অঞ্চল যা ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং এর নিয়ন্ত্রণের জন্য দুই দেশের মধ্যে তিনটি যুদ্ধও সংঘটিত হয়েছে। ভারতের দাবি হলো সম্পূর্ণ কাশ্মীর তাদের, যখন পাকিস্তান দাবি করে কাশ্মীরের একটি অংশ তাদের।
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর, কাশ্মীর একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। তবে শিঘ্রই পাকিস্তানি সেনারা কাশ্মীর আক্রমণ করে। ভারত সেনাও পাকিস্তান সেনাদের মোকাবেলা করার জন্য কাশ্মীরে প্রবেশ করে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ চলাকালীন, কাশ্মীরের রাজা ভারতের সাথে যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেন।
যুদ্ধ ১৯৪৯ সালে একটি যুদ্ধবিরতি দিয়ে শেষ হয়। যুদ্ধবিরতি রেখা বরাবর কাশ্মীরকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত করা হয়। যুদ্ধবিরতি রেখার পশ্চিম দিকে অবস্থিত কাশ্মীরের অংশটি পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে আসে এবং এটিই "পিওকে" নামে পরিচিত।
"পিওকে" বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি কাশ্মীর সমস্যার একটি অংশ। কাশ্মীর সমস্যা বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলে। যখন বাংলাদেশ ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে, তখন পাকিস্তান রাগান্বিত হয়। আর যখন বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে, তখন ভারত রাগান্বিত হয়।
"পিওকে" একটি জটিল এবং সংবেদনশীল বিষয়। এটি একটি এমন বিষয় যা বাংলাদেশের রাজনীতি এবং কূটনীতিতে দশকের পর দশক ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। "পিওকে" সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।