পাকিস্তানের ISI প্রধান ফয়েজ হামিদ




পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI) এর বর্তমান প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদ একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন দক্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসাবে খ্যাত হলেও পাকিস্তানের রাজনীতিতে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের জন্যও তিনি সমালোচিত হয়েছেন।

হামিদ একটি সামরিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে পড়াশোনা করেন এবং পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করেছেন এবং দ্রুত জেএসএফের প্রধান হিসেবে উন্নীত হয়েছেন।

হামিদকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে গণ্য করা হয়। খানকে ক্ষমতায় আনার জন্য তিনি খুব প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, এমনকি তাকে "সেনাবাহিনীর হয়ে খানের দোভাষী" বলা হয়েছে।

হামিদের সমালোচকরা তাকে সেনাবাহিনীর ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক জড়িত হওয়ার প্রতীক হিসাবে দেখেন। তিনি সেনাবাহিনীর স্বার্থকে রক্ষার জন্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার জন্য দায়ী বলে অভিযুক্ত হয়েছেন।

হামিদের সমর্থকরা যুক্তি দেন যে তিনি একজন দক্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা যিনি নিজের দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছেন। তারা বলে যে তিনি একজন পেশাদার যিনি সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক জড়িত হওয়ার বিরুদ্ধে কথা বলা থেকে বিরত নন।

হামিদ একটি বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব যিনি আগামী বছরগুলিতে পাকিস্তানের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা চালিয়ে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

নীচে হামিদের সম্পর্কে কিছু অতিরিক্ত তথ্য দেওয়া হল:

  • হামিদ 1964 সালে জন্মগ্রহণ করেন।
  • তিনি পাকিস্তানের উচ্চতম সামরিক সম্মান, নিশান-ই-ইমতিয়াজ (মিলিটারি) খেতাব পেয়েছেন।
  • তিনি বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে।
  • তিনি একজন উত্সাহী গল্ফ খেলোয়াড়।

কল টু অ্যাকশন:

ফয়েজ হামিদ সম্পর্কে আপনার কী মতামত? আপনি কি মনে করেন যে তিনি পাকিস্তানের একটি ইতিবাচক বা নেতিবাচক শক্তি? দয়া করে নীচের মন্তব্য বিভাগে আপনার চিন্তাভাবনা শেয়ার করুন।