পঞ্চমীর দেবী শক্তি অর্চনা




মা স্কন্দমাতার চিন্তা করলেই হৃদয় পুলকিত হয়ে ওঠে। মাকে পূজা করলে নারী শক্তির মূর্ত প্রতীকরূপে তার ধ্যান করি আমরা। মহানবীকে পূজা অর্চনা করলে সকল কাজে সাফল্য পাওয়া যায়। দুর্গাপূজার পঞ্চম দিনে স্কন্দমাতার পূজা করা হয়। তাই এই বিশেষ দিনে মা স্কন্দমাতাকে পূজা করার নিয়ম ও তাৎপর্য নিয়ে জেনে নেওয়া যাক।

দুর্গাপূজার পঞ্চম দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটিতে মহাদেবের স্ত্রী পার্বতীর স্কন্দমাতা রূপের পূজা করা হয়। স্কন্দমাতা হলেন কার্তিকের জননী। তাঁর চার হাত। এক হাতে শিশু কার্তিককে কোলে নিয়েছেন। অন্য তিন হাতে স্কন্দমাতা কমল, শক্তি এবং বরদান মুদ্রা ধারণ করে আছেন। তিনি সিংহের ওপর আরোহন করে আছেন। তিনিই দুর্গার পঞ্চম স্বরূপ। স্কন্দমাতার অর্থ হলো হলো স্কন্দ (কার্তিক) এর জননী। স্কন্দমাতার শরীর বর্ণ সোনার মতো দীপ্তিমান। তাঁর চারটি হাত। একটি হাতের তালুতে তিনি সন্তান কার্তিককে ধারণ করেন। অন্য তিনটি হাতে ক্রমশ কমল ফুল, শক্তি চক্র এবং বরদানের ভঙ্গি রয়েছে। দেবী স্কন্দমাতার বাহন হল সিংহ। তিনি লালচে রঙের পোশাক পরিধান করে থাকেন।

যে কোনো কাজে সাফল্যের জন্য দেবী মাকে সন্তুষ্ট করা অপরিহার্য। তাই সকল কাজে সফল হতে স্কন্দমাতার পূজা করতে হবে। স্কন্দমাতাকে ভক্তিভরে পূজা করলে সকল বাধা দূর হয়ে যায়। দেবী মায়ের কৃপায় জীবন সুখে ভরে ওঠে। বৈদিক মন্ত্র অনুযায়ী সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পূজার জন্য দেবী স্কন্দমাতার মূর্তি বা ছবির সামনে একটি চৌকির ওপরে লাল কাপড় বিছিয়ে তার ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এরপর আচমন করে আরতির থালায় ঘি বা তেলের দীপ প্রজ্বলিত করে প্রদক্ষিণ করতে হবে। এরপর পঞ্চোপচার বাষঠি উপচারে পূজা করতে হবে। সর্বশেষে প্রসাদ ভোগ লাগিয়ে নৈবেদ্য দেওয়া উচিত।