পঞ্চায়েত ৩




একদিন সন্ধ্যাবেলা, যখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিল, আমি গ্রামের মাঠের ধারে বসে আছি। হঠাৎ করেই আমার চোখে পড়ল একটা দৃশ্য, যা আমাকে হতবাক করে দিয়েছিল।

একটা ছোট ছেলে একটি কুকুরের সাথে খেলছিল। ছেলেটির হাতে একটি লাঠি ছিল, আর কুকুরটি তাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছিল। ছেলেটির বাবা-মা কাছাকাছিই দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তারা কিছুই করছিলেন না।

আমি স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে বাবা-মা তাদের ছেলেকে কুকুরের সাথে খেলতে দিচ্ছেন, যখন কুকুরটি পরিষ্কারভাবে আক্রমনাত্মক ছিল।

আমি ধীরে ধীরে তাদের কাছে গেলাম এবং বললাম, "দেখুন, কুকুরটি আক্রমনাত্মক। আপনাদের ছেলেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত।"

ছেলেটির বাবা আমার দিকে তাকালেন এবং বললেন, "আমরা ঠিক আছি। আমাদের ছেলেটি কুকুরটির সাথে খেলতে ভালোবাসে।"

আমি বললাম, "কিন্তু কুকুরটি আপনাদের ছেলেকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। এটার জন্য অপেক্ষা করবেন না।"

ছেলেটির মা বললেন, "কিছু হবে না। আমাদের ছেলেটি কুকুরের সাথে কীভাবে আচরণ করতে হয় সেটা জানে।"

আমি জানতাম যে তারা আমার কথা শুনছেন না, তাই আমি দূরে সরে গেলাম। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে তারা ঠিক কতটা বেখেয়াল ছিল।

কয়েক মুহূর্ত পর, কুকুরটি ছেলেটিকে হঠাৎ আক্রমণ করল। ছেলেটি চিৎকার করে উঠল এবং কুকুরটি তার গলায় কামড় দিল।

ছেলেটির বাবা-মা তখন ছুটে গিয়ে কুকুরটিকে সরিয়ে নিলেন। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। ছেলেটির গলায় গুরুতর আঘাত করা হয়েছিল।

আমি হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। আমি কখনই ভাবিনি যে এমন কিছু ঘটতে পারে।

ছেলেটির বাবা-মা তখন পুলিশকে ডাকলেন। পুলিশ এসে কুকুরটিকে নিয়ে গেল এবং ছেলেটিকে হাসপাতালে ভর্তি করল।

আমি সেই দৃশ্য কখনই ভুলতে পারব না। এটি আমাকে শিখিয়েছিল যে আমাদের কখনওই আমাদের বাচ্চাদের অবহেলা করা উচিত নয়। আমাদের সবসময় তাদের সুরক্ষার জন্য সতর্ক থাকা উচিত।