পাঞ্জাব আর দিল্লি, দুটোই উত্তর ভারতের রাজ্য। ভূগোল, সংস্কৃতি আর ইতিহাসে ভীষণ আলাদা এই রাজ্য দুটো। পাঞ্জাবের পাঞ্জাবি আর দিল্লির হিন্দি ভাষা। পাঞ্জাবি খাবারে ব্যবহার হয় ভরপুর মাখন। দিল্লির খাবার বেশি তেল-মশলাদার।
পাঞ্জাবের আবহাওয়াও আলাদা। গ্রীষ্মে ভীষণ গরম, আর শীতে কাঁপুনি দেয়। দিল্লির আবহাওয়া চরম। গ্রীষ্মে ভ্যাপসা গরম আর শীতে হাড় জমানো ঠান্ডা।
সংস্কৃতির দিক থেকেও আলাদা এই দুই রাজ্য। পাঞ্জাবের লোকজন উচ্চকণ্ঠ, আবেগপ্রবণ আর খুব বেশি সরল। দিল্লির লোকজন তুলনায় বেশি রক্ষণশীল, ভদ্র আর পরিশীলিত।
ইতিহাসও সাক্ষী এই দুই রাজ্যের আলাদা পরিচয়ের। পাঞ্জাবের মাটিতে হয়েছে বহু যুদ্ধ। সিন্ধু সভ্যতা থেকে শুরু করে মুঘল আমল, সব যুগেই পাঞ্জাব রণক্ষেত্র হয়েছে। দিল্লি তো ভারতের রাজধানী। ভারতের ইতিহাসে দিল্লির অবদান অপরিসীম।
তবে, এই সব আলাদা সত্ত্বা সত্ত্বেও পাঞ্জাব আর দিল্লি দুটো অঙ্গভুতভাবে যুক্ত। ভৌগলিক সান্নিধ্য আর ঐতিহাসিক সূত্র এই দুই রাজ্যকে এক সুতোয় বাঁধে। পাঞ্জাবের লোকজন দিল্লির আশেপাশে বসবাস করে। দিল্লির লোকজন পাঞ্জাবি সংস্কৃতির প্রভাব নিয়েছে।
তাই, পাঞ্জাব আর দিল্লি, এই দুটো প্রতিবেশী রাজ্যের একটা অদ্ভুত সম্পর্ক। দুটো আলাদা পরিচয়, কিন্তু একই সঙ্গে যুক্ত। এক সম্পর্কের যেমন হয়, এই দুই রাজ্যেও রয়েছে ভালোবাসা, রয়েছে ঝগড়া। কিন্তু সবকিছু সত্ত্বেও, এই দুটো রাজ্যের বন্ধন অটুট।