পিঠে পুলি আর নতুন জামা কাপড়, পোঙ্গল
বাঙালির মতো বাঙালির মেজাজ। সারা বছর এত কাজের মধ্যেও উৎসব আসলে যেন নতুন ভাবনা আসে। পোঙ্গলের মতো উৎসব হলে তো কথাই নেই।
খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে আরাম করে কালো চা飲ার সময়টা আমার খুব প্রিয়। সকালে সকালে জানলা দিয়ে ঢুকে আসা সূর্যের আলো থেকে চোখ সরাতে পারি না। কালো চায়ে সামান্য আদা দিতে পারলে তো কথাই নেই। এই উৎসবের দিন সকালে উঠে দেখি রান্নাঘরের দিকে মা অনেক আগেই কাজে হাত দিয়েছেন। সামান্য ঠান্ডা আবহাওয়ায় তাঁর কাজ চলছে।
আমাদের বাড়িতে মাকে পোঙ্গল রান্নায় হাতে-কলমে সাহায্য করি। মা বলেন, পোঙ্গল পুজোলের বেলা এই কাজ মেয়েরা করে। ভাইয়ের বাড়িতে ভাস্করও এসেছেন মাকে সাহায্য করতে।
পোঙ্গল রান্না হলে সবার আগে মন্দিরে ঠাকুরকে ভাগ তোলা হয়। তারপরে বাড়ির সবাই মিলে বসে প্রসাদ গ্রহণ করি।
বাঙালি খুব খিদে কম খায়, এই ধারণা অনেকটা ভ্রান্ত। বাঙালির উৎসব মানেই রকমারি পায়েস। আর পোঙ্গলের দিনে যদি মিষ্টি না হয়, তা হলে শান্তি হয় না।
এরপরে বিকেলে চালের গুঁড়ো, নারকেল, খেজুর ও মিষ্টি দিয়ে 'খুসবো' বানানো হয়। এই খুসবো না হলে পোঙ্গলের দিনের শেষ হয় না।
সন্ধ্যেবেলা বাড়িতে সবাই মিলে বসে গান গাওয়া, আড্ডা দেওয়া হয়। বড়োদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার একটা সুযোগ তো পাই আমরা।