পতঞ্জলি: প্রাকৃতিকের খোঁজে




আয়ুর্বেদ, যে নিরাময় পদ্ধতিটির শিকড় হাজার হাজার বছর আগে, সেই যে পদ্ধতি আমাদের প্রকৃতির সাথে একাত্ম করার চেষ্টা করে, তার অন্যতম প্রবক্তা পতঞ্জলি। তার লিখিত "যোগ সূত্র" আজও যোগের দর্শন ও অনুশীলনের ভিত্তি।

  • আয়ুর্বেদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: আয়ুর্বেদ হল একটি সংস্কৃত শব্দ যার অর্থ "জীবনের বিজ্ঞান"। এটি প্রাকৃতিক ওলালচিকিৎসা ব্যবস্থা যা প্রাকৃতিক উপাদান এবং রোগের প্রতিরোধ, নিরাময় এবং ভারসাম্য রক্ষার জন্য জীবনধারার সামঞ্জস্য ব্যবহার করে।
  • পতঞ্জলির অবদান: দ্বিতীয় শতাব্দীর আনুমানিক সময়ে জন্মগ্রহণ করা, ਪਤੰਜਲি আয়ুর্বেদের জনক নন। তবে, তার "যোগ সূত্র" যোগ দর্শন এবং অনুশীলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলির মধ্যে একটি, এবং এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ভিত্তি হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।
  • যোগ সূত্র: "যোগ সূত্র" মূলত 200টি সংক্ষিপ্ত সূত্র বা শ্লোকের সংগ্রহ, যা মনের, শরীরের এবং আত্মার সংযোগের দিক নির্দেশনা দেয়। এগুলি অষ্টাঙ্গ যোগের আটটি অঙ্গ নিয়ে আলোচনা করে, যা হল যম (নৈতিকতা), নিয়ম (নियम), আসন (যোগ অঙ্গ), প্রাণায়াম (শ্বাসের নিয়ন্ত্রণ), প্রত্যাহার (ইন্দ্রিয়সমূহের প্রত্যাহার), ধারণা (মনঃসংযোগ), ধ্যান (একাগ্রতা) এবং সমাধি (সম্পূর্ণ আত্মজ্ঞান)।


প্রাকৃতিকে আয়ত্ত করা:

পতঞ্জলির "যোগ সূত্র" আমাদের প্রকৃতির সঙ্গে যোগাযোগ করার গুরুত্বের উপর জোর দেয়। তিনি বিশ্বাস করতেন যে আমাদের শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।

আয়ুর্বেদে, প্রাকৃতিক সম্পদগুলিকে ঔষধের রূপে ব্যবহার করা হয়। উদ্ভিদ, খনিজ এবং প্রাণীজাত পদার্থগুলির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়, কারণ এগুলি প্রাকৃতিকভাবে সুষম এবং আমাদের শরীরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে বিশ্বাস করা হয়।

পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধা:

পতঞ্জলি শুধুমাত্র প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারেরই প্রবক্তা নন, তিনি পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধারও প্রচার করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে আমাদের প্রকৃতিকে ন্যায়সঙ্গত হিসাবে ব্যবহার করা উচিত এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এটি সংরক্ষণ করা উচিত।