একটা দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পেল পাতাল লোকের দ্বিতীয় সিজন। তবে প্রথম সিজনের মতো মনোঃপাঠ্য কাহিনী আর সিদ্ধার্থ চতুর্বেদীর প্রাঞ্জল অভিনয়ে আমাদের মন জয় করতে পারেনি এই সিজন।
ভূমিকা: মন্থরতার ঝালপ্রথম সিজনের প্রতিটি পর্ব ছিল রোমহর্ষক, সময় পেরিয়ে যেত অলक्षित। কিন্তু এই সিজনের প্রতিটি পর্ব মনে হচ্ছে দীর্ঘ। কাহিনী এগোয় অত্যন্ত ধীর गतिতে, যা দর্শকের ধৈর্যের পরীক্ষা নেয়। বিষয়টি আরও বেশি বিরক্তিকর হয়ে ওঠে যখন পর্দায় দীর্ঘ ডায়ালগের বন্যা বইতে থাকে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের চেয়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের আধিক্য বেশি।
কাহিনী: মনোবিশ্লেষণের দিকে পা বাড়ানোমন্থরতা সত্ত্বেও, এই সিজনটি আমাদেরকে মনোবিশ্লেষণের দিকে নিয়ে যায়। প্রধান চরিত্র হত্যাকারী হাতি রাম চৌধুরী এবার অতীতের ভুতের সঙ্গে লড়ছে। তার ব্যাধিগ্রস্ত মন তার অপরাধ এবং সিদ্ধান্তহীনতার সঙ্গে লড়ছে। এই মনোবৈজ্ঞানিক দিকটি অন্বেষণ করা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে, যা প্রথম সিজনে অনুপস্থিত ছিল।
অভিনয়: ভালোর মধ্যে মন্দসিদ্ধার্থ চতুর্বেদীর অভিনয় দুর্দান্ত। তিনি হত্যাখোর হাতি রামের ভূমিকায় প্রাণ ফুঁকে দিয়েছেন। তবে অন্য কিছু অভিনয়কারীর ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। গোলক ধাওয়ান খুব একটা সন্তুষ্ট করেননি ডিপ্ল্যাম্যাটের ভূমিকায়, এবং অনুজ চৌহান ভিলেনের ভূমিকায় খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেননি।
টেকনিক্যাল দিক: আঁধারের অভিঘাতপাতাল লোক সিজন 2-এর টেকনিক্যাল দিক নিখুঁত। সিনেম্যাটোগ্রাফি দর্শকদের গভীর, অন্ধকার জগতে নিয়ে যায়, যা শোরগোলের দিল্লির নিচে লুকিয়ে থাকা পাতাল লোককে প্রতীকীভাবে উপস্থাপন করে।
এক নজরে:সব মিলিয়ে, পাতাল লোক সিজন 2 একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে। মন্থর গতিবেগ এবং অতিদীর্ঘ ডায়ালগগুলির জন্য এটি কিছু দর্শকের জন্য হতাশাজনক হতে পারে, তবে মনোবিশ্লেষণের গভীরতা এবং সিদ্ধার্থ চতুর্বেদীর অসাধারণ অভিনয় এটিকে একটি যুক্তিযুক্ত ঘড়ির অভিজ্ঞতা করে তোলে।