পদ্ম পুরস্কার
এই শব্দবন্ধটি আমাদের কানে বাজলেই মনে পড়ে যায় ঐ মহৎ শিল্পী, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সমাজকর্মী আরও কত কী। যাদের নিঃস্বার্থ সাধনা একটা দেশের গর্ব, একটা জাতির ইতিহাস। এই পদ্ম পুরস্কার পেতে পেলে অনেকের জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন পূরণ হয়ে যায়। এতটাই সম্মানজনক আর মূল্যবান এই পুরস্কার।
এই পদ্ম পুরস্কারের সূচনা হয় ১৯৫৪ সালে। তখন এটির নাম ছিলো "ভারত রত্ন"। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা-
- ভারত রত্ন- সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার
- পদ্ম ভূষণ- দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার
- পদ্মশ্রী-তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার
সেই সময় থেকে প্রতিবছর ২৬শে জানুয়ারি এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়ে থাকে।
তবে এবারে কিছুটা আলাদা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। এবার পদ্ম পুরস্কারের ঘোষনা করা হবে ৮ই মার্চ, অর্থাৎ নারী দিবসের দিন। আসলে এই পুরস্কার নারী শক্তিকে সম্মান জানানো আর সমাজে নারীর অবদানকে তুলে ধরার জন্যই এই পদক্ষেপ।
পদ্ম পুরস্কার শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদেরই দেওয়া হয়। এই পুরস্কারের সুপারিশ সরকার নিজেই যেমন করতে পারেন। তেমনিই দেশের সাধারণ মানুষও এই পুরস্কারের জন্য কাওকে সুপারিশ করতে পারেন।
এই পুরস্কারের জন্য প্রতি বছর অনেকের নাম প্রস্তাবিত হলেও প্রত্যেকে পুরস্কার পান না। প্রস্তাবিত নামগুলোর মধ্যে থেকে যাদের নাম নির্বাচিত হয় তাদের সরকার থেকে একটি পত্র পাঠানো হয়। যেখানে তাদের বিস্তারিত তথ্য আর তারা কেন এই পুরস্কারের জন্য উপযুক্ত তা উল্লেখ করতে হয়। এরপর সরকার কর্তৃক গঠিত একটি কমিটি সবকটি আবেদনপত্র পর্যালোচনা করে পুরস্কার পাওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তির নাম ঘোষনা করেন।
যেহেতু এখন মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। তাই আপনি যদি কোনো উপযুক্ত ব্যক্তির কথা জানেন তাহলে এখনই পদ্ম পুরষ্কারের জন্য তাঁর নাম সুপারিশ করে দিন। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট অনুসরণ করতে হবে। এই বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আপনি ভিসিট করতে পারেন পদ্ম পুরষ্কারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
তবে এই পুরস্কার নিয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়ে রাখি। এই পুরস্কারটি মরণোত্তর প্রদান করা হয় না। এছাড়াও কেউ যদি একবার এই পুরস্কার পেয়ে যান তাহলে আরদ্বিতীয়বার তিনি এই পুরস্কারের জন্য সুপারিশ হতে পারেন না।