পিনেলি রামকৃষ্ণ রেড্ডি




পিনেলি রামকৃষ্ণ রেড্ডি, যিনি রাম রেড্ডি নামেও পরিচিত, তিনি একজন জনপ্রিয় ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ। তিনি তেলেগু ছবিতে অভিনয়ের জন্য পরিচিত, যেখানে তিনি বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। রেড্ডি একজন অভিজ্ঞ অভিনেতা, যিনি চার দশকের বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।

প্রাথমিক জীবন এবং কর্মজীবন

রেড্ডি ১৯৫৬ সালের ২৫ এপ্রিল অন্ধ্রপ্রদেশের পিনেলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পরে হায়দরাবাদের বিখ্যাত ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। অভিনয়ের প্রতি রেড্ডির আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই ছিল। তিনি স্কুল এবং কলেজের নাট্যগুলিতে অংশ নিয়েছিলেন।

রেড্ডি ১৯৮০ সালে "ওমকার" ছবিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি "কৃষ্ণ গাড়ি" (১৯৮১) এবং "ব্রহ্মর্ষি বিশ্বামিত্র" (১৯৯১) সহ বিভিন্ন ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯৪ সালে "সমরসিংহ রেড্ডি" ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি তার প্রথম বড় সফলতা অর্জন করেন।

অভিনয় শৈলী

রেড্ডি তার বহুমুখী অভিনয় দক্ষতার জন্য পরিচিত। তিনি নেতিবাচক এবং ইতিবাচক উভয় ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সমানভাবে সক্ষম। তিনি তার তীব্র সংলাপ বিতরণ, শক্তিশালী পর্দা উপস্থিতি এবং চরিত্রগুলিকে জীবন্ত করার ক্ষমতার জন্য প্রশংসিত হন।

রাজনৈতিক কর্মজীবন

অভিনয়ের পাশাপাশি রেড্ডি রাজনীতিতেও সক্রিয়। তিনি ২০১৪ সালে রাজস্থলী বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় নির্বাচিত হন। রেড্ডি শিল্প, পর্যটন, সংস্কৃতি এবং পশুপালন বিষয়ক মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্যক্তিগত জীবন

রেড্ডি সুশীলার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এবং তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তিনি একজন উত্সাহী ফটোগ্রাফার এবং সঙ্গীত প্রেমী। রেড্ডি একজন পরোপকারীও, যিনি বিভিন্ন সামাজিক কারণে অবদান রেখেছেন।

সম্মাননা এবং পুরস্কার

রেড্ডির অভিনয় দক্ষতাকে ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে দুটি নন্দী পুরস্কার সহ বিভিন্ন পুরস্কার জিতেছেন। তাকে ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার কর্তৃক "রঙ্গস্থল ভূষণ" উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

উত্তরাধিকার

পিনেলি রামকৃষ্ণ রেড্ডি তেলেগু চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে একজন কিংবদন্তি হিসাবে বিবেচিত হন। তিনি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বড় পর্দায় দর্শকদের মনোরঞ্জন করে আসছেন। তার বহুমুখী অভিনয় দক্ষতা এবং চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য তাকে স্মরণ করা হবে।