পাপুয়া নিউ গিনি : যে দেশের অধিবাসীরা এখনও হাতের অক্ষরে লিখে!
পাপুয়া নিউ গিনি হলো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। দেশটি তার অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বিচিত্র সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এমন একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পাপুয়া নিউ গিনিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আলাদা করে: এটি একমাত্র দেশ যেখানে অধিকাংশ লোক এখনও হাতের অক্ষরে লিখে!
উনবিংশ শতাব্দীতে প্রথমে মিশনারিদের দ্বারা পাপুয়া নিউ গিনিতে লেখালেখি প্রবর্তন করা হয়। তবে, এই লেখালেখি পদ্ধতি কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল এবং জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৫০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে দেশটিতে ব্যাপকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় এবং লেখালেখি একটি বাধ্যতামূলক বিষয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকরা তাদের ধর্ম প্রচারের জন্য পাপুয়া নিউ গিনিতে রোমান বর্ণমালা প্রবর্তন করেন। তাঁরা স্থানীয় ভাষার জন্য একটি সরলীকৃত বর্ণমালা তৈরি করেন, যা আজও ব্যবহৃত হয়। পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রায় ৮০০টি স্থানীয় ভাষা রয়েছে, এবং প্রতিটি ভাষার জন্য আলাদা আলাদা বর্ণমালা রয়েছে।
কিন্তু শিক্ষার অভাব এবং দূরবর্তী এলাকাগুলিতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবের কারণে বেশিরভাগ পাপুয়ান নিউ গিনির নাগরিক এখনও হাতের অক্ষরে লিখতে পারেন না। এমনকি যারা স্কুলে পড়াশোনা করেন, তাদের অনেকেই হাতের অক্ষর দিয়ে লিখতে অভ্যস্ত না।
- পাপুয়া নিউ গিনির প্রায় ৪০% জনসংখ্যা নিরক্ষর।
- দেশটির মাত্র ১০% জনসংখ্যা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারে।
- পাপুয়া নিউ গিনিতে ইন্টারনেটের সংযোগ খুবই সীমিত।
যদিও প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে পাপুয়া নিউ গিনিতে শিক্ষা এবং যোগাযোগের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু হাতের অক্ষরে লেখার প্রথাটি এখনও ব্যাপকভাবে বিদ্যমান। এটি পাপুয়ান সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং এটি দেশের অনন্য পরিচয়ের প্রতিনিধিত্ব করে।
কল টু অ্যাকশন:
আপনি যদি পাপুয়া নিউ গিনি ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাহলে এটি মনে রাখবেন যে হাতের অক্ষরে লেখা এখনও সেখানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। যদিও আপনার বেশিরভাগ ইংরেজি বোঝা যাবে, কিন্তু হাতের অক্ষরে লেখা বুঝতে সক্ষম হওয়া আপনার যাত্রাকে আরও সহজ এবং আনন্দদায়ক করে তুলবে।