ক্রিকেট জগতে এখন এক নক্ষত্রের নাম ঝলমল করছে, সে হল "রিশভ প্যান্ট"। এই তরুণ আর কয়েকদিন পরেই ভারতীয় দলের একজন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন। তার ব্যাটিংয়ে আছে গতি, শক্তি এবং পরিপূর্ণতার এক অদ্ভুত মিশ্রণ।
প্যান্টের গল্প শুরু হয় দিল্লির রাজনীতির একটি জটিল স্তরে। তার বাবা একজন সাবেক রাজনীতিবিদ, যিনি সর্বদা তাদের ছেলেকে ক্রিকেটার হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। এবং প্যান্টও নিজেকে এ বিষয়ে উৎসর্গ করেন। তিনি দিল্লির ম্যাডান লাল ক্রিকেট একাডেমিতে যোগ দেন এবং প্রয়াত রাজকুমার শর্মার অধীনে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন।
শুরুটা খুব একটা সহজ ছিল না। প্যান্টের প্রথম কয়েক বছর কেবলই কিছু ছোটখাটো পদক্ষেপের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু তার মধ্যে কিছু এমন ছিল যা অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি ছিলেন একজন বামহাতি ব্যাটসম্যান, যার একটি অদ্ভুত কব্জা ছিল এবং বলকে মারার একটি সহজ ক্ষমতা ছিল।
2016 সালে প্যান্টের জন্য সত্যিকারের পরিবর্তন আসে। তিনি দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে আইপিএল-এ অভিষেক করেন। যদিও তিনি খুব বেশি রান করতে পারেননি, কিন্তু তিনি তার প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন। তিনি একটি বিকল্প কীপার হিসাবেও দলকে অবদান রেখেছিলেন, যা তাকে আরও বেশি মূল্যবান করে তোলে।
আইপিএলের পরপরই প্যান্ট ভারতীয় দলের এ-দলে স্থান পান। এবং সেখান থেকে তারা সিনিয়র দলের দরজায় পৌঁছান। তিনি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে অভিষেক করেন এবং একটি বিস্ময়কর শতরান করেন। তারপর থেকে তিনি আর পেছনে ফিরে তাকাননি।
প্যান্টের সবচেয়ে বড় গুণ হল তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং স্টাইল। তিনি খেলেন ঝুঁকি নিয়ে, যা তাকে একজন দুর্দান্ত বিনোদনদাতা বানায়। কিন্তু তার কাছেও একটি সুদৃঢ় প্রতিরক্ষা আছে, যা তাকে একটি সম্পূর্ণ ব্যাটসম্যান হিসাবে তৈরি করে।
প্যান্ট কেবল একজন ভালো ক্রিকেটার নন, তিনি একজন চমৎকার ফিল্ডারও। তিনি একটি ম্যাচ-উইনার, যিনি যে কোনো মুহূর্তে ম্যাচের রূপ বদলে দিতে পারেন। তিনি একটি অসাধারণ প্রতিভা, এবং ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিশ্চিতভাবেই তার হাতে।
প্যান্টের যাত্রা এখনো চলছে। তিনি কেবল ২১ বছর বয়সী, এবং তার ভবিষ্যতে কি আছে তা শুধুমাত্র সময়ই বলতে পারবে। কিন্তু একটা জিনিস নিশ্চিত, তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য একটি উজ্জ্বল তারকা।