সপ্তম বেতন কমিশনের গঠন
সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল 14 ফেব্রুয়ারি, 2014-এ। এই কমিটির প্রধান ছিলেন সহকারী অর্থ সচিব (ব্যয়) ডঃ অরুণ গোয়েল। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা, যেমন কনফেডারেশন অফ সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ (CGGE) এবং অল ইন্ডিয়া স্টাফ অফিসার্স কনফেডারেশন (AISOC)।
সুপারিশগুলির মূল্যায়ন
সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি 25 নভেম্বর, 2015-এ সরকার অনুমোদন করেছিল। এই সুপারিশগুলির মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য রয়েছে নিম্নরূপঃ
প্রভাব
সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলির সরকারি কর্মচারীদের জীবনযাত্রার উপর যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। বেতন এবং ভাতা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে তাদের ক্রয় সামর্থ্য বেড়েছে। এছাড়াও, নতুন বেতন ব্যান্ড এবং গ্রেড পে কাঠামো কর্মচারীদের পদোন্নতি এবং ক্যারিয়ারের অগ্রগতির সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষণ এবং আলোচনা
সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি মোটামুটিভাবে সরকারি কর্মচারী দ্বারা স্বাগত জানানো হয়েছিল। তবে, কিছু অংশের দ্বারা কিছু সমালোচনাও করা হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, কিছু কর্মচারী মনে করেন যে বেতন বৃদ্ধি যথেষ্ট ছিল না, বা নতুন বেতন ব্যান্ড এবং গ্রেড পে কাঠামো কিছু কর্মচারীর জন্য অসুবিধাজনক।
ফেব্রুয়ারি 2020-এ সরকার ঘোষণা করেছিল যে সপ্তম বেতন কমিশন বাতিল করা হবে এবং তার জায়গায় নতুন একটি বেতন কমিশন গঠন করা হবে। নতুন কমিশন 7ম CPC এর সুপারিশগুলিকে পর্যালোচনা করবে এবং সরকারি কর্মচারীদের বেতন এবং ভাতা সম্পর্কিত নতুন সুপারিশ করবে।
উপসংহার
সপ্তম বেতন কমিশন সরকারি কর্মচারীদের জীবনযাত্রার উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। এই কমিশনের সুপারিশগুলি তাদের বেতন এবং ভাতা বৃদ্ধি করেছে এবং ক্যারিয়ারের অগ্রগতির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যদিও কিছু সমালোচনা ছিল, তবে সপ্তম CPC কে সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হয়।