বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা একটি জীবন্ত কিংবদন্তি। তার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি একজন সফল নেতা, একজন কঠোর পরিশ্রমী, এবং সবার জন্য একজন রোল মডেল
শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের তুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের মেয়ে। তার জীবনের প্রথম দিকের অংশটি তার বাবার রাজনৈতিক সংগ্রাম দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল।
তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে রাজনীতি বিজ্ঞানে স্নাতক এবং দক্ষিণ এশিয়ান গবেষণার উপর বিশেষজ্ঞতা অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং তার রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে ১৯৮১ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এবং ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বে বাংলাদেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক উন্নয়নের একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন।
তিনি তার দৃঢ়তা, সাহস এবং জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকারের জন্য পরিচিত। তিনি একটি উজ্জ্বল, বুদ্ধিদীপ্ত এবং কর্মঠ নেতা, যিনি সবসময় বাংলাদেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করেন।
তিনি একজন সच्चा নেতা, যিনি সবসময় দেশ এবং তার মানুষের জন্য সেরা কাজ করার চেষ্টা করছেন। তিনি প্রত্যেকের কাছে একজন অনুপ্রেরণা এবং আমাদের সবার গর্বের উৎস।
যখনই আমরা তাঁর কথা শুনি, আমরা কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ়তার মূল্যবোধের কথা স্মরণ করি। তিনি আমাদের সবাইকে এই কথাগুলি বিবেচনা করার জন্য উত্সাহিত করেন, "যখন আপনি কিছু করার জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হন, তখন কোনও কিছুই আপনাকে থামাতে পারে না।"
আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সত্যিকারের মেয়ে। তিনি দেশের উন্নয়নে তার বাবার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করছেন। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা এবং আমরা সবাই তার মতো একজন নেতা পেয়ে ধন্য।